জানুয়ারি ২, ২০২২, ১২:৩২ এএম
ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “ঘণ্টা বেজে গেছে, আমাদের কথা নয়। ওই দেখেন, পশ্চিমা বিশ্ব গণতন্ত্রের প্রধান যাদের বলা হয়, সেই আমেরিকা তাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কাদের দিয়েছে, যারা আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবচেয়ে বেশি বাধা সৃষ্টি করেছে। হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে, তুলে নিয়েছে, গুম করে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে। সুতরাং ঘণ্টা বেজে গেছে।”
সরকারের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, “আর সময় নাই, এখন উল্টাপাল্টা এদিক-সেদিক করে কথা বলে কোনো লাভ হবে না। পদত্যাগ করে একটা নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দেন এবং তাদের অধীনে নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন দিয়ে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করুন। অন্যথায় পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না।”
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “আর টালবাহানা করে লাভ নেই। পদত্যাগ করেন এবং খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। অথবা আপনারা নিজেরা যাওয়ার জন্য তৈরি হন। আমরা অনেক কথা শুনতে পাই, মন্ত্রীরা নাকি পাসপোর্ট তৈরি করে ফেলেছেন। কে কোথায় যাবেন, সেই ব্যবস্থাও নাকি হয়ে গেছে। তাহলে এত দেরি করে লাভ কী, তাড়াতাড়ি যান। দেশের মানুষ রেহাই পাক, স্বস্তি পাক।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বোন শেখ রেহানার পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ দেখতে যাওয়ার প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, “পদ্মা সেতুর ওপর ছবি তুলেছেন। ভালো কথা, আমাদের আপত্তি নেই। ছবি আপনারা তোলেন, অবশ্যই তুলবেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ করেন, কিন্তু আমার সাধারণ মানুষের মোটা ভাত মোটা কাপড়ের ব্যবস্থাটা করেন। ফাইভ স্টার হাসপাতাল তৈরি হয়, কিন্তু সাধারণ মানুষ চিকিৎসাসেবার সুযোগ পায় না। শ্রমিকেরা তাঁর মজুরি পান না। কৃষক তাঁর ফসলের ন্যায্যমূল্য পান না।”
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, “খুব বড় করে কথা বলেছিলেন, ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবেন। অথচ আজ ৭০ টাকাতেও চাল পাওয়া যায় না। জ্বালানি তেলের দাম ও দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি মানুষের জন্য অসহনীয় হয়ে পড়েছে, অথচ তারা বলছে উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ।”