এপ্রিল ১০, ২০২৩, ০৫:৩৩ পিএম
রাজধানীর মগবাজার ফ্লাইওভার। চার লেনের ৮ দশমিক ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ উড়ালপথের পিলারগুলোর বেশিরভাগ জুড়ে কদাকার পোস্টারে ঢাকা। উড়াল সড়কটির ১৫ স্থানে উঠানামা করা যায়। এই ফ্লাইওভারের পিলারগুলোতে যত্রতত্র পোষ্টার লাগানোর কারণে এটির সৌন্দর্য অনেকটাই ঢাকা পড়েছে।
এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। পোস্টার-ব্যানারে ভরা অসুন্দর পিলারগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করার জন্য চিত্রকর্মের মাধ্যমে সুন্দর করে সাজানো হচ্ছে। সাতদিন আগেও যেখানে পোস্টারে ভরপুর ছিল পিলারগুলো, সেখানে আজ অপরূপ সৌন্দর্য দেখা যাচ্ছে। পিলারগুলোতে অসুন্দর পোস্টার-ব্যানারের জায়গা দখলে নিয়েছে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি। মগবাজার ফ্লাইওভারের পর অন্যান্য ফ্লাইওভার ও মেট্রোরেলের পিলারেও গ্রাফিতি করা হবে।
সোমবার দুপুরে মগবাজার চৌরাস্তা ফ্লাইওভারের পিলারে দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি আর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। তিনি এ সময় জনগণ,এলাকাবাসী, পথচারী, কাউন্সিলর, শিক্ষক, মসজিদের ইমামসহ সবার কাছে সহযোগিতা চান ফ্লাইওভার পিলারগুলোকে পোস্টারমুক্ত রাখতে।
গ্রাফিতি আর্ট কার্যক্রমের উদ্দেশ্য সম্পর্কে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সিটি কর্পোরেশন থেকে পোস্টার-ব্যানারে ভরা অসুন্দর পিলারগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করার উদ্যোগ নিয়েছি। চিত্রকর্মের মাধ্যমে পিলারগুলো সুন্দর করে সাজিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পিলারগুলোতে চিত্রকর্মের মাধ্যমে শিক্ষনীয় ম্যাসেজ দেওয়া হবে। হর্ন বাজাবেন না, পোস্টার না লাগাই, গাছ লাগাই পরিবেশ বাঁচাই— এরকম বার্তা থাকবে।
মগবাজার থেকে সাত রাস্তামুখী ফ্লাইওভারের নিচের পিলারগুলোতে ব্যানার-পোস্টার তুলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সাদা রঙ করা হয়েছে। ধবধবে সাদা রঙের ক্যানভাসে ফুটে উঠছে দৃষ্টি নন্দন গ্রাফিতি। তাতে শোভা পাচ্ছে দেশীয় সংষ্কৃতি এবং শিক্ষনীয় বিষয়।
এরই মধ্যে দৃষ্টি নন্দন করা চারটি পিলারের একটিতে পরিবেশ সংরক্ষণের চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। পিলারের একপাশে এক কিশোর চারা গাছ লাগাচ্ছে, আরেক কিশোর বই নিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। একটিতে লেখা রয়েছে হর্ন বাজাবেন না, পোস্টার না লাগাই। আর দুটি পিলের একটিতে ফুল, পাখি, সূর্য এবং আরেকটিতে ফুলের নকশার সাথে নৌকা দিয়ে অবহমান বাংলার সংষ্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
মাত্র কাজ শুরু হলেও পিলারগুলো যে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে তা পথচারীদের আকৃষ্ট করছে। অনেকেই মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করছেন সেসব দৃশ্য। এসব দৃষ্টিনন্দন গ্রাফিতি কার্যক্রমে পেশাদার গ্রাফিতি শিল্পীদের সাথে কাজ করছেন ঢাকা শহরের নামি রিকশা পেইন্টাররা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুয়ায়ি গ্রাফিতি শিল্পীদের পাশাপাশি একাজে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে।