জুলাই ১৯, ২০২৩, ০৭:১২ পিএম
বাংলা সাহিত্যের রাজপুত্র হুমায়ূন আহমেদ। বাংলাদেশে তুমুল জনপ্রিয় ছিল তাঁর। দুই শতাধিক ফিকশন, নন-ফিকশন বই লিখেছিলেন। মৃত্যুর এগারো বছর পেরিয়ে এখনো তাঁর অনেক বই বিক্রি হয়।
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর তাঁর ভক্তরা মিলে `হিমু পরিবহন` নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গড়ে তুলেছিলেন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল হুমায়ুন আহমেদ যেসব স্বপ্ন দেখতেন, যা করার কথা ভাবতেন, সেগুলো করা।
সাহিত্য বিশ্লেষকদের মতে, তাঁর নিজস্ব একটি লেখার স্টাইল ছিল, যা অসংখ্য পাঠককে আকৃষ্ট করেছে। অনেক পাঠকের জন্য তিনি বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশের সাহিত্য জগতে বড় একটি শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর তাঁর স্টাইলে অনেকে উপন্যাস বা গল্প লেখার চেষ্টা করেছে, যদিও সেসব বই খুব বেশি পাঠকপ্রিয়তা পায়নি।
বাংলাদেশে এখনো প্রতিবছর কয়েক হাজার গল্প, উপন্যাসের বই প্রকাশিত হয়। কিন্তু প্রকাশকরা বলছেন, হুমায়ূন আহমেদের বই যেভাবে বিক্রি হতো, এই লেখকদের জনপ্রিয়তা থাকলেও সেভাবে বই বিক্রি হয় না।
আগামী প্রকাশনীর কর্ণধার ওসমান গনি বলছেন, ‘এক কথায় যদি বলতে হয়, তাহলে বলি, তার জায়গায় এখনো কেউ আসতে পারেনি। তার লেখার যে জাদুকরী, মানুষকে আকর্ষণ করা, হুমায়ুন আহমেদ সেটা করতে পেরেছিলেন। অন্য লেখকরা হয়তো সেভাবে পারেননি। স্বাভাবিকভাবে এই কারণে ওই জায়গাটা আর কেউ পূরণ করতে পারেননি।’
তিনি জানান, হুমায়ুন আহমেদের একেকটা বই প্রথম প্রকাশে ২৫ থেকে ৩০ হাজার কপি ছাপানো হতো। তাঁর বই কিনতে লম্বা লাইন তৈরি হতো। কিন্তু এখন যেসব বই ছাপানো হয়, সাধারণত প্রথম প্রকাশে ৪০০ বা ৫০০ কপি ছাপানো হয়ে থাকে।
তবে হুমায়ুন আহমেদের বইয়ের শূন্যতা পূরণ না হলেও তার পাঠকের বই পড়ার একটা উন্নতি দেখতে পাচ্ছেন প্রকাশক ওসমান গনি। তিনি বলেন, ‘আগে যারা মাসুদ রানা পড়তো, রোমেনা আফাজের বই পড়তো, পরবর্তীতে যারা হুমায়ুন আহমেদের বই পড়েছে, তারা এখন সিরিয়াস ধরনের বই পড়তে শুরু করেছে। ফলে আগের চেয়ে সিরিয়াস ধারার বইয়ের কাটতি কিন্তু আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এখানে একটা বড় সফলতা এসেছে।’
তিনি জানান, হুমায়ূন আহমেদের একেকটা বই প্রথম প্রকাশে ২৫ থেকে ৩০ হাজার কপি ছাপানো হতো। তাঁর বই কিনতে লম্বা লাইন তৈরি হতো। কিন্তু এখন যেসব বই ছাপানো হয়, সাধারণত প্রথম প্রকাশে ৪০০ বা ৫০০ কপি ছাপানো হয়ে থাকে।
প্রকাশকরা বলছেন, প্রতিটি বই মেলায় নতুন প্রকাশিত কোনো বইয়ের তুলনায় ১১ বছর পরেও হুমায়ূন আহমেদের পুরনো কোন বই এখনো তার চেয়ে বেশি বিক্রি হয়।