ডিসেম্বর ২৬, ২০২১, ১১:২২ এএম
বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণকে টেকসই করতে সহায়তা করা এবং আরও সমৃদ্ধ, ন্যায্য ও স্থিতিস্থাপকভাবে সমাজকে উন্নত করা এবং সমাজের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে আগামী চার বছরে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সুইজারল্যান্ড প্রায় ১১৯ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ বা এক হাজার ১০০ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করবে।
সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশনের (এসডিসি) মহাপরিচালক প্যাট্রিসিয়া ড্যানজি একথা জানিয়েছেন।
ড্যানজি বলেন, বাংলাদেশের এখন এলডিসি থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন। কেননা, নির্দিষ্ট কিছু বাজারে এখন তাদের প্রবেশাধিকার বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
ড্যানজি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বাংলাদেশের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো, এ অগ্রযাত্রাটা হতে হবে মসৃণ, স্থায়িত্ব সম্পন্ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক, যাতে করে কেউ পিছিয়ে না পড়ে।’
প্যাট্রিসিয়া ড্যানজি বাজারের ব্যাপারে পূর্বানুমানের সক্ষমতা বাড়ানো এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন কাঠামোগত সংস্কারের ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের সম্পর্ককে ‘চমৎকার’ উল্লেখ করে প্যাট্রিসিয়া ড্যানজি বলেন, ২০২২ সালে দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর উদ্যাপন করবে। দুই দেশ তাদের সম্পর্ককে পরবর্তী স্তরে নিয়ে যেতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে পারে এমন বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রের কথা বলেছেন তিনি ।
উদাহরণস্বরূপ প্যাট্রিসিয়া ড্যানজি বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, জাতিসংঘের এজেন্ডা ২০৩০-এর কথা উল্লেখ করেন। জাতিসংঘের এজেন্ডা ২০৩০ অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ড কাউকে পিছিয়ে না রেখে একটি সমান্তরাল বিশ্ব গঠনের অভিন্ন প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
প্যাট্রিসিয়া ড্যানজি বলেন, ‘সে লক্ষ্যে, আমার সফরটি সুইজারল্যান্ড-বাংলাদেশ সহযোগিতা কর্মসূচি ২০২২-২৫’র সূচনা করছে।’
এসডিসি’র মহাপরিচালক উল্লেখ করেন, সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশ বহুপক্ষীয় ফোরামে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, যেহেতু আমার দেশ ২০২৩-২৫ সালের জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি অস্থায়ী আসনের প্রার্থী, আমি নিশ্চিত যে শান্তি ও নিরাপত্তার উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করার জন্য এটি একটি খুব ভালো উপলক্ষ্য হবে।
অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র সম্পর্কে জানতে চাইলে প্যাট্রিসিয়া ড্যানজি বলেন, তারা ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জন্য নতুন সহযোগিতা কর্মসূচি চালু করেছেন।
এসডিসি’র মহাপরিচালক বলেন, এটি এজেন্ডা ২০৩০ এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমাদের সামগ্রিক লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণকে টেকসই করতে সহায়তা করা এবং আরও সমৃদ্ধ, ন্যায্য ও স্থিতিস্থাপকভাবে সমাজকে উন্নত করা এবং সমাজের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে অবদান রাখা।
আগামী চার বছরে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সুইজারল্যান্ড প্রায় ১১৯ মিলিয়ন সুইস বা এক হাজার ১০০ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করবে বলেও জানান ড্যানজি।