ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩, ০৪:১৫ পিএম
দেশের একটি পরিবার মাসে গড় আয় করে ৩২,৪২২ টাকা এবং আয়ের বিপরীতে একটি পরিবারের ব্যয় ৩১,৫০০ টাকা। অর্থাৎ একটি পরিবার মাসে ৯২২ টাকার মতো সঞ্চয় করেন। ২০২২ জরিপের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী খানার মাসিক গড় আয় ও ব্যয় নম জানা যায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী জানা যায়।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিসংখ্যান ভবনের অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরে সংস্থাটি।
বিবিএস জানায়, দেশের প্রতিটি খানার গড় আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ জরিপের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী খানার মাসিক গড় আয় ৩২,৪২২ টাকা। যা ২০১০ ও ২০১৬ সালের জরিপে ছিল যথাক্রমে ১১,৪৭৯ টাকা এবং ১৫,৯৮৮ টাকা।
তবে প্রতিটি খানার মাসিক আয় বৃদ্ধির সাথে সাথে মাসিক ব্যয়ও বেড়েছে। ২০২২ সালের জরিপ অনুযায়ী, বর্তমানে একটি খানার মাসিক ব্যয় ৩১,৫০০ টাকা। যা ২০১০ ও ২০১৬ সালে ছিল যথাক্রমে ১১,২০০ টাকা এবং ১৫,৭১৫ টাকা।
সংস্থাটি জানায়, “হাউজহোল্ড ইনকাম অ্যান্ড এক্সপেনডিচার সার্ভে”র ২০২২ এর তথ্য-উপাত্ত নিরীক্ষণে দেখা যায় খানায় খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত ব্যয়ের ধারায় পরিবর্তন হয়েছে।
তবে খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। ২০২২ সালে খাদ্য ব্যয়ের হার ৪৫.৮%, এবং খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ৫৪.২%। ২০১৬ সালে খাদ্যের জন্য ব্যয় ছিল ৪৭.৭% এবং খাদ্য বহির্ভূত ব্যয় ৫২.৩%।
২০২২ সালে চালের দৈনিক মাথাপিছু গড় ভোগের পরিমাণ ছিল ৩২৮.৯ গ্রাম, যা ২০১৬ সালে ছিল ৩৬৭.২ গ্রাম এবং ২০১০ সালে ছিল ৪১৬.০ গ্রাম। ২০০৫ সালে ছিল ৪৩৯.৬ গ্রাম এবং ২০০০ সালে ৪৫৮.৫ গ্রাম। অন্যদিকে, সবজি ও মাংসের ব্যবহার ধীরে ধীরে বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা গয়, প্রোটিন গ্রহণের গড় পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২ সালের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী দৈনিক মাথাপিছু প্রোটিন গ্রহণের পরিমাণ ৭২.৫ গ্রাম, যা ২০১৬ সালে ছিল ৬৩.৮ গ্রাম।
এছাড়া ২০১০ সালে ৬৬.২৬ গ্রাম, ২০০৫ সালে ৬২.৫২ গ্রাম ও ২০০০ সালে ছিল ৬২.৫০ গ্রাম ছিল।