আসছে ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ সুতার দর আবার বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। তুলার সরবরাহ চেইন বিঘ্নিত হওয়ার কারণে এই সংকট তৈরি হতে পারে জানিয়ে সংগঠনটি বলছে, সেক্ষেত্রে প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের উৎপাদন এবং রপ্তানি ব্যাহত হবে।
বৃহস্পতিবার সংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এই ইঙ্গিত দেন বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন। রাজধানীর পান্থপথে সংগঠনের কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
কেন তুলার দর বাড়তে পারে- সেই ব্যাখ্যায় বিটিএমএ সভাপতি বলেন, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কার মাদার ভেসেল (বড় জাহাজ) থেকে ফিডার ভেসেলে (ছোট জাহাজ) আমদানি করা তুলা দেশে আনা হয়। গত কয়েক মাস ধরে ফিডার ভেসেলের সংকট চলছে। আবার বন্দরে চলছে কনটেইনার জট। এতে মাদার ভেসেল থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে মাদার ভেসেল ভাড়ায় বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের।
তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অনেক জাহাজ কোম্পানি বাংলাদেশের পণ্য পরিবহনে রাজি হচ্ছে না। সেখানেও বেশি ব্যয় হচ্ছে। আবার কারখানায় তুলা আসতে সাত মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। অথচ বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাকের এখন বাড়তি রপ্তানি আদেশের ফলে তুলা-সুতার ব্যাপক চাহিদা। আগামী মাস থেকে গ্রীষ্ম মৌসুমের পোশাকের রপ্তানি আদেশ আসতে শুরু করবে। ওই বাড়তি চাহিদার প্রেক্ষিতে সময় মত আমদানি করা তুলা হাতে না পেলে ভারতসহ বিকল্প বাজার থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বেশি দামে তুলা আমদানি করতে হবে। এতে সুতার দাম না বাড়িয়ে পারা যাবে না।
মতবিনিময় সভায় বিটিএমএর পরিচালা বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।