চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য আবার এসেছে একটি বিসিএস। এটি ৪৪তম বিসিএস। নেওয়া হবে ১ হাজার ৭১০ জনকে। এরমধ্যে শিক্ষা ক্যাডারে নেওয়া হবে ৭৭৬ জন। অনলাইনে আবেদন শুরু হবে ৩০ ডিসেম্বর। আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই শেষে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হতে পারে আগামী বছরের মে মাসে। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নুর আহমদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
কোন ক্যাডারে কতজন
৪৪তম বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৭১০ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এরমধ্যে, প্রশাসন ক্যাডারে ২৫০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ৫০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ১০ জন, আনসার ক্যাডারে ১৪ জন, নিরীক্ষা ও হিসাবে ৩০ জন, কর ক্যাডারে ১১ জন, সমবায়ে ৮ জন, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে ৭ জন, তথ্যে ১০, ডাকে ২৩ জন, বাণিজ্যে ৬ জন, পরিবার পরিকল্পনায় ২৭ জন, খাদ্যে ৩ জন, টেকনিক্যাল ক্যাডারে ৪৮৫ জন ও শিক্ষা ক্যাডারে ৭৭৬ জন।
আবেদনের সময়সীমা
৪৪তম বিসিএসের জন্য আবেদন শুরু হবে ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে। আবেদন শেষ হবে আগামী ৩১ জানুয়ারি, ২০২২ তারিখ সন্ধ্যা ৬টায়।
বয়সসীমা
মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা, প্রতিবন্ধী প্রার্থী এবং বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের প্রার্থী ছাড়া অন্য সব ক্যাডারে প্রার্থীর জন্য বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর। প্রার্থীর সর্বনিম্ন জন্মতারিখ ২ নভেম্বর ২০০০ এবং সর্বোচ্চ ২ নভেম্বর ১৯৯১। মুক্তিযোদ্ধা/শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, প্রতিবন্ধী প্রার্থী, বিসিএস (স্বাস্থ্য), বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ও বিসিএস (কারিগরি শিক্ষা) ক্যাডারের জন্য শুধু ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স ২১ থেকে ৩২ বছর। প্রার্থীর সর্বনিম্ন জন্মতারিখ ২ নভেম্বর ২০০০ এবং সর্বোচ্চ জন্মতারিখ ২ নভেম্বর ১৯৮৯।
যেভাবে আবেদন
যোগ্য প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে (http://bpsc.teletalk.com.bd) গিয়ে পিএসসির নির্ধারিত ফরমের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। বিসিএস আবেদন ফরমে তিনটি অংশ রয়েছে। প্রথম অংশে ব্যক্তিগত তথ্য, দ্বিতীয় অংশে শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কিত তথ্য এবং তৃতীয় অংশে ক্যাডার পছন্দের তথ্য। সঠিকভাবে নির্দেশনা অনুসরণ করে ফরম পূরণ করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করার পর কোনো পর্যায়েই প্রার্থীর ভুল তথ্য সংশোধনের সুযোগ থাকবে না।
আবেদন ফি
অনলাইনে ফরম পূরণের পর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে প্রার্থীকে। টেলিটক প্রি–পেইড মুঠোফোনের মাধ্যমে আবেদন ফি ৭০০ টাকা জমা দিতে হবে। তবে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রার্থী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ টাকা জমা দিতে পারবেন।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর বণ্টন
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ৩৫, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ৩৫, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৩০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ২০, ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ১০, সাধারণ বিজ্ঞান ১৫, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ১৫, গাণিতিক যুক্তি ১৫, মানসিক দক্ষতা ১৫, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসনের ওপর ১০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর বণ্টন
সাধারণ ক্যাডারের জন্য লিখিত পরীক্ষায় বাংলা ২০০, ইংরেজি ২০০, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১০০, গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা ১০০ (মানসিক দক্ষতা পরীক্ষার এমসিকিউ ৫০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য এক নম্বর পাবেন এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য দশমিক ৫০ নম্বর কাটা যাবে) এবং সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ১০০। আর মৌখিক পরীক্ষা হবে ২০০ নম্বরের। তবে প্রফেশনাল/টেকনিক্যাল ক্যাডারের প্রার্থীদের বাংলায় ২০০ নম্বরের পরিবর্তে ১০০ নম্বর, সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ের বদলে সংশ্লিষ্ট পদের প্রাসঙ্গিক বিষয়ে ২০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
প্রিলিমিনারি ও লিখিতের সিলেবাসপ্রাপ্তি
প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ও লিখিত পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস পিএসসির ওয়েবসাইটে (http://www.bpsc.gov.bd) পাওয়া যাবে। আগ্রহী প্রার্থীরা কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে তাঁদের প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস ডাউনলোড করতে পারবেন।
প্রিলিমিনারির সম্ভাব্য তারিখ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৪৪তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আগামী বছরের মে মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে। সম্ভাব্য তারিখ ২৭ মে। পরীক্ষার সময় ও নির্দেশনা পরবর্তী সময়ে কমিশনের ওয়েবসাইটে এবং গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
পরীক্ষাকেন্দ্র
প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। আর মৌখিক পরীক্ষা কমিশনের প্রধান কার্যালয়, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে।