ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম
বয়সসীমা লঙ্ঘন করে ভর্তি করায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। এই শিক্ষার্থীরা ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হয়েছিল। কী কারণে নিয়ম না মেনে এসব ছাত্রী ভর্তি করানো হলো, তা তদন্ত করা হবে।
বুধবার এ সিদ্ধান্ত জানিয়ে হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে মাউশি।
১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেছিলেন ভর্তিচ্ছু অপর দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে মাউশির পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) কাজী মইনুল হাসান প্রতিবেদন দাখিল করেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, ভিকারুননিসা স্কুল কর্তৃপক্ষকে মাউশির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে এবং আগামী ৬ মার্চের আগে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন আদালত।
তিনি বলেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ মাউশির নির্দেশনা অনুযায়ী ভর্তি নীতিমালায় বয়সসীমা নির্ধারণ করেছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারির আগে জন্ম এমন শিক্ষার্থীরা ভিকারুননিসা নূন স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তির জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। কিন্তু ওই ১৬৯ শিক্ষার্থীর জন্ম ২০১৫ ও ২০১৬ সালে এবং ভর্তির বয়সসীমার নীতি লঙ্ঘন করে তাদের ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভিকারুননিসা স্কুলের পক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ রফিউল ইসলাম বলেন, মাউশির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ভিকারুননিসার গভর্নিং বডি বৈঠক করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে। ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাউশির সঙ্গে পরামর্শ করে চলতি বছরের জানুয়ারিতে লটারি পদ্ধতির মাধ্যমে বেইলি রোড, আজিমপুর শাখা, ধানমন্ডি শাখা ও বসুন্ধরা শাখায় ওই ১৬৯ শিক্ষার্থীকে ভর্তি করেছে।
নির্দেশের বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, ‘বয়সের নিম্নসীমা (৬+) ভর্তি নীতিমালায় উল্লেখ করা আছে। আর বয়সের উচ্চসীমা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারণ করতে বলা আছে। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ নিজেরাই বয়সের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করে তা নিজেরাই মানেনি। আদালত বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বলেছে। সে কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে ভর্তি বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
নেহাল আহমেদ আরও বলেন, ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের কোনো অপরাধ নেই। আমরা বিষয়টি তদন্ত করবো। তারপর কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা বিবেচনা করা হবে। শিক্ষার্থীদের কোনো দোষ নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকারুননিসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে কেকা রায় চৌধুরী বলেন, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি।’