ডিসেম্বর ১২, ২০২৪, ০৭:৪৬ পিএম
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাসুলের (সা.) হিজরত নিয়ে মানহানিকর পোস্ট করার অভিযোগ এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক শিশির ভট্টাচার্যের শিক্ষক পদ বাতিল ও তার ফাঁসির দাবিতে সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টি।’
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর বিকাল সোয়া ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ বক্তারা এসব দাবি জানায়।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, গত ১১ ডিসেম্বর রাতে ঢাবির আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউটের হিন্দুত্ববাদী শিক্ষক শিশির ভট্টাচার্য তার ফেসবুক পেইজে আমাদের প্রিয় নবিজি উনার ঐতিহাসিক হিজরত নিয়ে জঘন্যতম কটূক্তি করে। এর আগে গত ২৩ অক্টোবরও সে একই বিষয় নিয়ে কটূক্তি করে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, হিন্দুত্ববাদী শিক্ষক শিশির ভট্টাচার্য বহুদিন ধরে ফ্যাসিস্টদের ছত্রছায়ায় দ্বীন ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করে আসছিলো। তবে এখন সে বিদেশে পালিয়ে পুনরায় কটূক্তি শুরু করেছে। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, এখনও তার শিক্ষক পদ বহাল আছে। কাজেই, আমাদের প্রথম দাবি হচ্ছে, তার শিক্ষকত্ব বাতিল করে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
স্টুডেন্টস ফর সভরেন্টির নেতারা বলেন, সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হচ্ছে ইসলাম। কাজেই, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এবং এর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিয়ে অবমাননা হচ্ছে রাষ্ট্রদ্রোহিতা। তাই কেউ যদি রাষ্ট্রধর্ম কিংবা প্রিয় নবিজি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার এবং উনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনও বিষয়ের মানহানিকর বক্তব্য, বিবৃতি, লেখনী ইত্যাদি প্রকাশ করে, বলে বা লেখে— তবে তাকে রাষ্ট্রদ্রোহী হিসেবে সাব্যস্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে হবে।
এসময় আন্দোলনকারীরা দুই দফা দাবি পেশ করেন। দাবি দুটি হলো—
১. শিশির ভট্টাচার্যের শিক্ষকত্ব বাতিল করে ঢাবি কর্তৃপক্ষকে বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে এবং তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্রযন্ত্রের মাধ্যমে তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
২. সংবিধানের মধ্যে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয়টি সর্বাগ্রে, সর্বোচ্চ মর্যাদায়, সবার উপরে রাখতে হবে এবং উনার আদর্শ কেন্দ্রিক সংবিধান সংস্কার করতে হবে।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন— স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টির নেতা মুহম্মদ জিয়াউল হক, শাকিল মিয়া, মুহিউদ্দিন রাহাত, রাফসান, সাইদুলসহ আরও অনেকে।