ঢাকা নগরীর বস্তি এলাকাগুলোতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেওয়ার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর)সকালে রাজধানীর সবচেয়ে বড় কড়াইল বস্তিবাসীদের টিকা দেওয়ার মাধ্যমে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়।
মঙ্গলবার কড়াইলসহ রাজধানীর ভাসানটেক ও মোহাম্মদপুর বস্তিতে টিকা দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলার বস্তিতেও টিকা দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।
কীভাবে বস্তিবাসীরা টিকা নিচ্ছেন?
সুষ্ঠুভাবে টিকাদান সম্পন্ন করার জন্য কড়াইল বস্তিতে মোট ৫০টি টিকার বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এই বস্তিতে বসবাসকারীদের মধ্যে যারা টিকার জন্য নিববন্ধন করেননি, তারা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে অনস্পটে এসে নিবন্ধন করার পরই টিকা নিতে পারছেন। আর যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তারা জন্মনিবন্ধন দেখিয়ে টিকা নিবন্ধন করে টিকা নিতে পারছেন। আর যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন নেই, তারা সিটি করপোরেশনের যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা, সেই ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কাছ থেকে প্রত্যায়ন পত্র এনে নিবন্ধনের পর টিকা নিতে পারছেন।
টিকাদান বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমবার যা বলেছিলেন
এর আগে, সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধা্নীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স (বিসিপিএস) প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে। মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বস্তিতে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে তিন লাখের মতো মানুষ রয়েছেন। তাদেরকে টিকা দেওয়া হবে কাল (মঙ্গলবার)। পর্যায়ক্রমে অন্য সব বস্তিতেও দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
করোনায় বাংলাদেশ একটি স্বস্তিদায়ক জায়গায় রয়েছে মন্তব্য করে ওই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ আমরা করোনা সংক্রমণ মোকাবিলা করতে পেরেছি। রোববার মাত্র চার জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে সংক্রমণ কিছুটা বেড়েছে।’
কীভাবে টিকা দেওয়া হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ওই অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, উপস্থিতির ভিত্তিতেই যারা আসবে তাদের অন স্পটে নিবন্ধন করানো হবে। আমরা আগেও অনেক জায়গায় যারা নিবন্ধন করেনি তাদের এনআইডি অথবা জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমেই নিবন্ধন করিয়ে টিকা দিয়েছি। তবে অবশ্যই ১৮ বছর বয়সীদের দেওয়া হবে, এর নিচে নয়।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, গত এক মাস ধরে দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে আমরা চাই দেশের সংক্রমণ ও মৃত্যু শূন্যের কোটায় চলে আসুক। সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করলে আশা করি দ্রুতই শূন্যে নেমে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।