ডেঙ্গু বাড়ছে জানিয়ে সচেতন থাকার নির্দেশ দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ৭, ২০২৩, ০২:৫১ পিএম

ডেঙ্গু বাড়ছে জানিয়ে সচেতন থাকার নির্দেশ দিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশে কিছুদিন ধরে আবারও ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রভাব বাড়ছে জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণ থেকে মুক্ত থাকতে হলে সবাইকে সজাগ হতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সতর্ক হতে হবে।

রবিবার (৭ মে) দুপুর ১২টায় রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশার কামড় থেকে মুক্ত থাকতে হবে। আশপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বাসা-বাড়ির ছাদ, আঙিনায় যেন পানি জমে না থাকে সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।

টিকাদান কার্যক্রম প্রসঙ্গে জাহিদ মালেক বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও সারা বিশ্বজুড়ে টিকাদান সপ্তাহ পালিত হয়েছে। আমরা প্রতি বছর সাড়ে দুই কোটি শিশুকে টিকা দিয়ে থাকি, সবমিলিয়ে প্রায় ১০টিরও বেশি অসুখের টিকা দেওয়া হয়ে থাকে। এই প্রোগ্রামের জন্য ১ লাখ ২০ হাজার সেন্টার করে থাকি। এছাড়াও আমরা ১৫ থেকে ৪৯ বছরের নারীদের টিকা দিয়ে থাকি। তাদেরও ১০ রকমের রোগের টিকা দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ টিকার প্রতি আগ্রহী, তারা খুবই আনন্দের সঙ্গে টিকা নেয়। আমাদের মায়েরা শিশুদের টিকা দিতে আগ্রহী। তারাই আমাদের টিকাদানে সফলতার পেছনের বড় কারণ হিসেবে কাজ করে। এক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছাও বড় কারণ। এই কার্যক্রমে বিরাট একটা লজিস্টিক সাপোর্ট লাগে, যা সরকার দেয়। টিকাদানের সময় অন্যান্য কাজকর্মও আমরা করে যাচ্ছি।

সভায় বক্তারা বলেন, বিভ্রান্তিকর তথ্য বা সেবা গ্রহণে বিভিন্ন বাধা বিশেষত কোভিড অতিমারিকালে আমাদের নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থানের কারণে অনেকেই যথাসময়ে নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত টিকাগুলো গ্রহণ করতে পারেননি। ফলে টিকা বঞ্চিত ও টিকাপ্রাপ্ত সুরক্ষিত শিশুদের মধ্যে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতার সুস্পষ্ট ব্যবধান তৈরি হয়েছে। যে কারণে বিশ্বজুড়ে ইতোমধ্যে পোলিও, ডিফথেরিয়া, যক্ষ্মাসহ অন্যান্য টিকা দ্বারা প্রতিরোধযোগ্য রোগগুলোর প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে শুরু করেছে, যা নিরসনে টিকা বঞ্চিত শিশুদের টিকা নিশ্চিত করতে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

Link copied!