ইউক্রেন সরকারের নেতৃত্ব দিতে মস্কোপন্থি কোনো নেতাকে বসাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফন্দি আঁটছেন বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্রেমলিনের প্রার্থী হিসেবে ইউক্রেনের সাবেক সংসদ সদস্য ইয়েভেন মুরায়েভ এগিয়ে রয়েছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে মস্কোপন্থি হিসেবে কোনো নেতার নাম উল্লেখ করা বেশ বিরল ঘটনা।
রাশিয়া এরই মধ্যে ইউক্রেনসংলগ্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। তবে, কোনো ধরনের আগ্রাসনের পরিকল্পনার অভিযোগ অস্বীকার করছে রাশিয়া।
যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইউক্রেনে আগ্রাসন বা হামলা চালানো হলে মারাত্মক পরিণতি ভুগতে হবে পুতিন সরকারকে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আজ হাতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ি ইউক্রেনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা জানা গেছে এবং ক্রেমলিন বর্তমানে এমন চিন্তাভাবনাই করছে। রাশিয়াকে অবশ্যই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি থামাতে হবে এবং আগ্রাসন ও ভুল তথ্যের প্রচারণা বন্ধ করে কূটনীতির পথ ধরতে হবে।”
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই বিবৃতিতে আরও বলেন, “যুক্তরাজ্য এবং আমাদের মিত্ররা বারবারই বলে আসছে ইউক্রেনে রাশিয়া কোনো ধরনের সামরিক পদক্ষেপ নিলে, সেটি হবে বিরাট কৌশলগত ভুল এবং এটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।”
রাশিয়া এর আগেও ইউক্রেনের ভূমি দখল করেছে। ২০১৪ সালে রুশপন্থি প্রেসিডেন্ট ক্ষমতাচ্যুত হলে ক্রিমিয়ার দখল নিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনের ভূমি দখলে নেয়।
পশ্চিমা ও ইউক্রেনের গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, এ বছরের শুরুর দিকেই রাশিয়া আবারও ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন চালাতে পারে।
অন্যদিকে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে’ দাবি করে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক টুইটে বলেছে, উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধ করুন এবং আজেবাজে কথা ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন।