বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ১৫ জন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুন ৯, ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস দুর্ঘটনায় নিহত অন্তত ১৫ জন

মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। 

এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, সোমবার ভোরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহনকারী একটি বাসের সঙ্গে একটি মিনিভ্যানের সংঘর্ষে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

পুলিশ উদ্ধারকর্মীরা জানান, দুর্ঘটনাটি মালয়েশিয়ার থাইল্যান্ড সীমান্তের কাছাকাছি ইস্ট-ওয়েস্ট হাইওয়ের গেরিক শহরের কাছে ঘটে, যা আগে থেকেই দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলেই ১৩ জনের মৃত্যু হয় এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও জন মারা যান। এটি মালয়েশিয়ায় গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা বলে উল্লেখ করেছে কর্তৃপক্ষ।

পেরাক রাজ্যের পুলিশ প্রধান হিসাম ordin বলেন, "প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মিনিভ্যানের পেছন দিক থেকে ধাক্কা মারে।"

ফায়ার সার্ভিসের প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, সবুজ রঙের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসটি উল্টে পড়ে আছে এবং বাসের পেছনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। মিনিভ্যানটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে জানালাগুলো ভেঙে গেছে।

পেরাকের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানায়, "কিছু যাত্রী নিজেরাই বের হয়ে আসতে পেরেছেন, কিছু যাত্রী বাস থেকে ছিটকে পড়েছেন, আবার অনেকেই বাসের ভেতরে আটকে পড়েছিলেন।" উদ্ধারকর্মীরা হাইড্রোলিক কাটার ব্যবহার করে আটকে পড়া যাত্রীদের বের করে আনেন।

নিহতদের মধ্যে ১৪ জন সুলতান ইদ্রিস এডুকেশন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী এবং বাসের একজন সহকারী ছিলেন। এছাড়া দুর্ঘটনায় আরও ৩৩ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা গুরুতর।

নিহত আহতদের বয়স ২১ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। তারা উত্তর-পূর্ব মালয়েশিয়ার জের্তেহ থেকে ফিরছিলেন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় সময় রাত ১টার কিছু পর।

পুলিশ প্রধান হিসাম আরও জানান, দুর্ঘটনার পেছনে মানবিক ভুল নাকি যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল তা এখনও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এক প্রত্যক্ষদর্শী রজালি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেইটস টাইমসকে বলেন, "এটি ছিল এক আতঙ্কের দৃশ্য। শিক্ষার্থীরা চিৎকার করছিল এবং সাহায্যের জন্য ডাকছিল। তারা বাসের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে ছিল।"

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী তার স্ত্রী আজিজা এক যৌথ বিবৃতিতে শোক প্রকাশ করেন।

আনোয়ার সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, " ধরনের হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা বারবার ঘটছে, যা সবার জন্য সতর্কতার বড় শিক্ষা। দয়া করে তাড়াহুড়া করবেন না। আপনার জীবন অমূল্য, যা কখনোই ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।"

Link copied!