অক্টোবর ৬, ২০২৩, ১১:১৩ পিএম
নারী অধিকার রক্ষা, নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই ও মানবাধিকার রক্ষায় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সালে শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ইরানের নার্গিস মোহাম্মদী। স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে নরওয়ের নোবেল কমিটি তাঁর নাম ঘোষণা করে। নারগিস মোহাম্মদি বর্তমানে কারাবন্দী রয়েছেন।
নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, চলতি বছর ইরানে নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে ও সবার জন্য মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার নারগিস মোহাম্মদির লড়াইয়ের স্বীকৃতি হিসেবে নার্গিস মোহাম্মদীকে শান্তিতে নোবেল দেওয়া হলো।
নোবেল কমিটি আরও বলেছে, নারী অধিকার ও মানবাধিকার রক্ষার লড়াইয়ে তাঁকে চরম ব্যক্তিগত মূল্য পরিশোধ করতে হয়েছে। তাঁকে ইরান সরকার ১৩ বার কারাবন্দী করেছে। বিভিন্ন অভিযোগে ৩১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে এবং ১৫ বার তাঁকে দোররা মেরে শাস্তি দিয়েছে।
নারগিস মোহাম্মদী বর্তমানে ইরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছেন। এরই মধ্যে চলতি বছর চারটি ক্যাটাগরি—চিকিৎসা, পদার্থ, রসায়ন ও সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন নরওয়ের হুয়ান ফসে।
তাঁর আগে চলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার জিতে নেন মুঙ্গি জি বাভেন্দি, লুই ই ব্রুস ও অ্যালেক্সেই আই একিমভ। কোয়ান্টাম ডটের আবিষ্কার ও উন্নয়ন এবং ন্যানো ক্রিস্টাল প্রযুক্তি বা ন্যানোপার্টিক্যালের আকার ও বৈশিষ্ট্য নির্ধারণে অবদান রাখার জন্য তাঁদের নোবেল পুরস্কার ভূষিত করা হয়।
রসায়নের আগে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল জিতে নেন যুক্তরাষ্ট্রের পিয়েরে অগস্তিনি, জার্মানির ফেরেন্স ক্রাউস এবং সুইডেনের অ্যানে হুইলিয়ে। আলোর স্বল্পতম স্পন্দন তৈরি করে অতি সংক্ষিপ্ত মুহূর্তকে বন্দী করার কৌশল নিয়ে গবেষণা করার স্বীকৃতি হিসেবে তাঁদের নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে এবারের নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন কাতালিন ক্যারিকো ও ড্রিউ ওয়েইসম্যান। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে কার্যকর এমআরএনএ টিকার বিকাশে সহায়ক ‘নিউক্লিওসাইড বেস’ পরিবর্তনের বিষয়ে আবিষ্কারের জন্য এই পুরস্কার পেলেন তাঁরা।
এমআরএনএ কীভাবে আমাদের ‘ইমিউন সিস্টেমের’ সাথে মিথস্ক্রিয়া করে সে বিষয়ে আমাদের বোধে মৌলিক পরিবর্তন এনেছেন এই দুজন। আধুনিক কালে মানব স্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকির মধ্যে টিকা আবিস্কারে অভূতপূর্ব হারে অবদান রেখেছেন তাঁরা।