বেটা
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মূলত গাজায় আক্রমণ নিয়ে ইসরায়েলকে দফায় দফায় সতর্ক করার পর না মানায় দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রো এ নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডি ক্রো বলেছেন, যেসব বসতি স্থাপনকারী পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতা চালিয়েছে তাদের বেলজিয়াম থেকে নিষিদ্ধ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এক দিন পর বেলজিয়াম এ নীতির ঘোষণা দিয়েছে।
ডি ক্রো আরও বলেছেন, বেসামরিক লোকদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকারীদের অবশ্যই ফল ভোগ করতে হবে। উগ্র বসতিস্থাপনকারী পশ্চিম তীরের বাসিন্দাদের বেলজিয়ামে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, “আমরা নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে মার্কিনিদের সাথে কাজ করব। পশ্চিম তীরে শান্তি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সেসব লোকদের লক্ষ্য করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
পোস্টে বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলা চালানোর পর থেকে বেলজিয়াম সরকার ইসরায়েলকে নিজেদের জনগণের সুরক্ষার পদক্ষেপ সমর্থন করে। এটি প্রতিটি সরকারের প্রধান কাজ।
আমি প্রথম দিন থেকে একইসাথে সংযম, বন্দিদের মুক্তি এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও বাধাহীন মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পশ্চিম তীরের উগ্র বাসিন্দাদের বেলজিয়ামে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে। নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের ব্যাপারে তারা মার্কিনিদের অনুসরণ করবেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এটি পালনে উৎসাহিত করতে কাজ করবে বেলজিয়াম।
এর আগে ইসরায়েলের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার এই ঘোষণা দেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তিনি বলেন, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের যারা ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে কয়েক ‘ডজন’ চরমপন্থি ইসরায়েলি এবং তাদের পরিবারের কিছু সদস্যের ওপর প্রযোজ্য হবে।
তিনি বলেন, আমরা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংস হামলাকারী উগ্রপন্থি বসতি স্থাপনকারীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে ইসরায়েল সরকারকে জোর দিয়েছি।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বারবার বলেছেন, এ ধরনের আক্রমণ অগ্রহণযোগ্য। গত সপ্তাহেও ইসরায়েল সফরকালে আমি স্পষ্ট করে বলেছি, যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব ক্ষমতা ব্যবহার করে এ ধরনের বিষয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।
