দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকালে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে গ্রেফতারের যে কোনো প্রচেষ্টা ‘রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। আগামী মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের কথা রয়েছে।
আসছে আগস্টে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের পাঁচটি নেতৃস্থানীয় উদীয়মান বাজার অর্থনীতির শক্তিশালী জোট ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলন। জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠেয় ওই সম্মেলনে ব্রিকসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমিরি পুতিন অংশগ্রহণ করবেন। এতে সদস্য দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা সশরীর উপস্থিত থাকবেন। সে অনুযায়ী পুতিনও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবেন।
পুতিনের এই সম্ভাব্য সফর নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। কারণ পুতিনের বিরুদ্ধে ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। আন্তর্জাতিক আদালত বা আইসিসির সদস্যদেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। এ পরিস্থিতিতে পুতিনের জোহানেসবার্গ সফরের সময় তাকে গ্রেফতার করা হতে পারে, এমনটা ধারণা করছেন কেউ কেউ।
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে গ্রেফতার করার চেষ্টা করা হলে তা হবে দেশটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করার শামিল।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (ডিএ) রামাফোসা সরকারকে চাপ দিয়ে যাচ্ছে সম্মেলনে আসলে যেনো পুতিনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দলের দাবি, দক্ষিণ আফ্রিকায় পা রাখার পর পুতিনকে গ্রেফতার করতে হবে। পরে তাকে আদালতের কাছে হস্তান্তর করা হোক।
এর প্রতিক্রিয়ায় রামাফোসা বলেছেন, বিরোধী দল ডিএর আচরণ দায়িত্বজ্ঞানহীন। এর মধ্য দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা, শান্তি ও শৃঙ্খলা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
রামাফোসা বলেছেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোটা দক্ষিণ আফ্রিকার সংবিধানের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ হবে। সেই সঙ্গে এটা দেশকে রক্ষা করার বিষয়ে আমার দায়িত্বের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে। এ ছাড়া ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে দক্ষিণ আফ্রিকা যে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, তা ব্যর্থ করে দেবে পুতিনকে গ্রেফতারের চেষ্টা।’
এর আগে, রুশ প্রেসিডেন্টকে সম্মেলনে আসা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ডেপুটি প্রেসিডেন্ট পল ম্যাশাটাইল। তবে তার সেই চেষ্টা সফল হয়নি।