মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই প্রধানমন্ত্রী তিনি। সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এসডিপির নেতৃত্বে আছেন। ২০১৫ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৯ এর ৬ জুন থেকে ২০১৯ এর ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটির পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ডাক কর্মকর্তাদের একটি বিক্ষোভের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন দেশটির আগের প্রধানমন্ত্রী। ২০১৯ এর ৮ ডিসেম্বর দায়িত্ব নেন প্রধানমন্ত্রীর। দেশটির ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ এবং বিশ্বের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বকনিষ্ঠ রাষ্ট্রপ্রধান তিনি।
কথা বলছি, ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে। দেশটির ৫টি দল নিয়ে একটি জোটের নেতৃত্বে সরকার পরিচালনা করছেন প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন। মজার বিষয় হলো, যে ৫টি দল নিয়ে সান্নার জোট সেই ৫ টি দলের প্রধানও ৫ জন নারী।
যাদের প্রত্যেকের বয়স ৩০ এর কমবেশি। যদিও বলা হয়ে থাকে এটা এমন একটি জাতি যার অধিকাংশ ক্ষেত্রই নারী দ্বারা পরিচালিত। ১৯১৭ সালে দেশটি স্বাধীন হওয়ারও আগে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যাপক আন্দোলনের ফল হিসেবে বর্তমানে নারীদের এমন শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে।
১৯০৬ সালে রাশিয়ার অংশ থাকাকালীন ফিনল্যান্ডে নারীদের পরিপূর্ণ রাজনৈতিক অধিকার দেওয়া হয়। যার মধ্যে ভোটদান, চাকরি করা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এর এক বছর পরই দেশটির জাতীয় নির্বাচনে ১৯ জন নারী পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। বিশ্বের প্রথম নারী সংসদ সদস্যও ওই ১৯ জনই। বর্তমানে দেশটির আইনপরিষদ ও মন্ত্রীসভায় অর্ধেকের মত নারী প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এসব দিক দিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তাই গর্ব করার মত অনেক কিছুই আছে ইউক্রেনের নারীদের।
গতবছর বৈশ্বিক নারী-পুরুষ সমতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও দেশটি ছিলো বিশ্বের ২য় নম্বরে। আর একটু সমতা বেশি নিশ্চিত করে এক নম্বরে আছে ইউরোপেরই আরেকটি দেশ আইসল্যান্ড। সমতা নিশ্চিতের র্যাংকিংয়ের ১৫৬টি দেশের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র আছে ৩০ নম্বরে, জাপান আছে ১২০ নম্বরে।