ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩, ০২:৫০ পিএম
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় ৮ প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে শোকজ করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিশন। একই সাথে ওই প্রচারণায় সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগের চার নেতাকেও শোকজ করা হয়।
চিঠিতে এই বিষয়ে কেন আইন ভঙ্গের দায়ে নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবে না সেই মর্মে ২৭ ডিসেম্বর তাঁদের আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি ও সিনিয়র সহকারী জজ ধীমান চন্দ্র মণ্ডল এই চিঠি দেন।
চিঠি পাওয়া ৮ প্রিসাইডিং অফিসার হলেন- দুপ্তারা সেন্ট্রাল করোনেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন সরকার, রোকন উদ্দিন মোল্লা গার্লস ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মইনুল হোসেন মানিক, গোপালদী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাদেকুর রহমান কামাল, জাঙ্গালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহেদুল হক, জাহানারা বেগম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক, উজান গোপিন্দী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুজ্জামান খাঁন, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসাররা হলেন, গাজীপুরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লোকমান হোসেন, প্যানেলভুক্ত পোলিং অফিসার উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের স্বাস্থ্য সহকারী কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার।
বাকি ৪ জন আওয়ামী লীগ নেতা হলেন- খাগকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক রুবেল, যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহিদা মোশারফ।
এর আগে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার খাগকান্দা ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ডে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে এই নির্বাচনী উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের চিঠিতে বলা হয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যম ও গণমাধ্যমের সচিত্র প্রতিবেদনে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম ওরফে বাবুর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন। আপনি বর্তমান প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে প্যানেলভুক্ত রয়েছেন এবং ইতিমধ্যে আপনার ট্রেনিং সম্পন্ন হয়েছে। এটি নির্বাচনী প্রচারণা নির্বাচন আইনের লঙ্ঘন। এই বিষয়ে কেন আইন ভঙ্গের দায়ে নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবে না সেই মর্মে ২৭ ডিসেম্বর আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করা হলো।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতাদের চিঠিতে বলা হয়, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলাম ওরফে বাবুর পক্ষে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তা ও প্যানেলভুক্ত প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং এজেন্টদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেছেন। উক্ত ব্যক্তিদের নির্বাচনী প্রচারণায় উপস্থিত করা নির্বাচন আইনের লঙ্ঘন। এই বিষয়ে কেন আইন ভঙ্গের দায়ে নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবে না সেই মর্মে ২৭ ডিসেম্বর আদালতে সশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করা হলো।
নির্বাচনী এলাকা ২০৫ (আড়াইহাজার) এর নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির সভাপতি ও সিনিয়র সহকারী জজ ধীমান চন্দ্র মণ্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তাদের শোকজ করা হয়েছে। ২৭ ডিসেম্বর তাদের শোকজের জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।