কোটা সংস্কার আন্দোলন

সমন্বয়কদের ‍‍‘জিম্মি করার’ অভিযোগ ভিত্তিহীন : ডিবি হারুন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ২৯, ২০২৪, ০৮:২৭ এএম

সমন্বয়কদের ‍‍‘জিম্মি করার’ অভিযোগ ভিত্তিহীন : ডিবি হারুন

ঢাকা মহানগর ডিবি প্রধান এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন।

ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশের ‘হেফাজতে’ থাকা অবস্থায় কর্মসূচি প্রত্যাহার করার একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তবে অন্য দুইজন সমন্বয়ক অভিযোগ করেছেন, জিম্মি করে নির্যাতনের মুখে এই বক্তব্য দেওয়ানো হয়েছে। তবে সোমবার দুপুরে ঢাকা মহানগর ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, সমন্বয়করা নিজেদের মধ্যে আলাপ করেই এই বিবৃতি দিয়েছে। ডিবি অফিস হচ্ছে নিরাপত্তার জায়গা,যার ফলে সমন্বয়করা এখান থেকে বক্তব্য দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে।

‍‍‘নিরাপত্তার স্বার্থ‍‍’ দেখিয়ে পুলিশ শুক্রবার হাসপাতাল থেকে নাহিদ ইসলামসহ আরও দুজন সমন্বয়ককে তুলে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে ‍‍‘হেফাজতে‍‍’ রাখলেও নাহিদ ইসলামের সঙ্গে রোববার তার মাকেও দেখা করতে দেয়া হয়নি। আটকদের পরিবারের সদস্যরা তাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও তাদের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি ডিবি পুলিশ।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিবিপ্রধান হারুন বলেন, “একটু আসেই তাদের আত্মীয়-স্বজনরা দেখা করেছে। গতকাল সন্ধ্যা নাগাদও তাদের দেখা করতে দেয়া হয়েছিল।”

গতকাল সন্ধ্যার পর পুলিশ হেফাজত থেকে একটি ভিডিও বার্তায় নাহিদ ইসলাম কোটা সংস্কার আন্দোলন তুলে নেয়ার বার্তা দেন। একটি লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ঊদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকে অপ্রত্যাশিতভাব আহত ও নিহত হয়েছে। তাছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ নানা স্থাপনায় সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”

আমাদের যৌক্তিক দাবি ছিল কোটা সংস্কার, যা সরকার এরই মধ্যে পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। সার্বিক স্বার্থে আমরা এই মুহূর্ত থেকে আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি

তবে এই বিবৃতি প্রত্যাখান করেছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এক জোরে বিবৃতি দিয়েছে তারা। তারা এই বিবৃতির নাম দিয়েছে ‘স্পষ্ট বিবৃতি’। যেখানে বলা হয়েছে যে, সমন্বয়কের ডিবি কার্যালয়ে আটকে রেখে নির্যাতন ও জোর পূর্বক এই বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে।

Link copied!