প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল বিএনপির সঙ্গে অতীতে যত দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে, সেটা মীমাংসার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রয়টার্সকে দেওয়া একটি এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানান তিনি।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ৭ আগস্ট প্রথম সমাবেশ করেছে বিএনপি। সেই সমাবেশে নেতাকর্মীদের প্রতিশোধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার এই নির্দেশনাকে সাধুবাদ জানিয়ে হাসিনা-পুত্র বলেন, “নয়াপল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যে আমি খুবই খুশি।”
আরও পড়ুন: আমার মা শেখ হাসিনা পদ ত্যাগ করেননি: জয়
ওয়াশিংটনে রয়টার্সকে তিনি বলেন, “যা হয়ে গেছে, হয়ে গেছে। আমিও তাই বলছি- আসুন, আমরা অতীতকে ভুলে সামনের দিকে অগ্রসর হই। প্রতিশোধের রাজনীতিকে প্রশ্রয় না দিই। আমরা মিলেমিশে থাকতে চাই।”
সজীব ওয়াজেদ বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে রাজনীতিতে আলাপ-আলোচনা খুবই জরুরি। আমরা তর্ক করতে পারি, কোনও ইস্যুতে আমরা একমত বা ভিন্নমত পোষণ করতে পারি ও শেষ পর্যন্ত একটা সমঝোতায় যেতে পারি।”
শেখ হাসিনার সাবেক তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা বিএনপির সঙ্গে কাজ করতে চাই। আমাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ গণতন্ত্র এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিতে পারে।”
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান শেখ হাসিনা। বঙ্গভবনে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষরের পর ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করেন তিনি। তবে হাসিনা-পুত্রের দাবি, তার মা (শেখ হাসিনা) সাংবিধানিকভাবে পদ ছাড়েননি। বর্তমানে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন শেখ হাসিনা। তার দেশ ছাড়ার পর থেকে নিয়মিত সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
এরই মধ্যে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পর এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গত ৮ আগস্ট এই সরকার শপথ নেয়। তবে রয়টার্সকে জয় বলেন, “শেখ হাসিনা যেহেতু সাংবিধানিকভাবে পদ ছাড়েননি, সেজন্য এখনও তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও সরকার প্রধান থাকাবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের বৈধতা নিয়ে আদালতে চ্যালেঞ্জ জানাতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত।