জুন ৮, ২০২৫, ০৩:৫৫ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি হঠাৎ করে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলে সরানোর সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “এই সিদ্ধান্ত কার স্বার্থে নেওয়া হচ্ছে? এতে কারা লাভবান হচ্ছে? যাঁরা এখন ক্ষমতায় আছেন, তাঁরা কি আগামী নির্বাচনের রূপরেখা নিজেরা তৈরি করছেন?”
রোববার চট্টগ্রামের মেহেদীবাগে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরেই নির্বাচন চেয়েছিল এবং এ বিষয়ে প্রায় সর্বসম্মত মতামত গঠিত হয়েছিল। এমনকি বিচারিক কার্যক্রমও শুরু হয়ে গিয়েছিল।
“বিচার তার নিজস্ব গতিতে চলবে, সরকার আদালতের কাজ চালায় না। তাহলে হঠাৎ করেই নির্বাচন এপ্রিলে নেওয়ার যৌক্তিকতা কোথায়? এর আগেই—সেপ্টেম্বর, অক্টোবর বা নভেম্বরেই তো নির্বাচন সম্ভব,” বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসটি চিন্তাভাবনা করেই নির্বাচনের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছিল। কারণ এরপরই শুরু হবে পবিত্র রমজান, যার মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন। রমজানের পরপরই শুরু হবে পরীক্ষা ও আবহাওয়ার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ, যেমন কালবৈশাখী ঝড়, যা নির্বাচন আয়োজনকে আরও কঠিন করে তুলবে।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা মনে করেন, দেশে বর্তমানে কোনও নির্বাচিত সরকার বা সংসদ নেই। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনের সময়সূচি নির্ধারণে জাতীয় ঐকমত্যই হওয়া উচিত।
“যখন নির্বাচিত সরকার ও সংসদ থাকে না, তখন এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত সকল পক্ষের মতামতের ভিত্তিতেই নেওয়া উচিত। এখন যেহেতু সকলের মতামত ডিসেম্বরের পক্ষে, তাহলে সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে এপ্রিলে নির্বাচন কেন? এটা কার স্বার্থে করা হচ্ছে?”—প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “জাতীয় ঐকমত্য উপেক্ষা করে নির্বাচন আয়োজন করা হলে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়বে এবং জনমনে নির্বাচনপ্রক্রিয়ার ওপর আস্থা হারানোর ঝুঁকি তৈরি হবে।”