বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আপনারা সাড়ে ১৫ বছর ধৈর্য ধরেছেন, আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরেন। এই সরকারের বয়স এখনও এক মাস হয়নি, তাদেরকে বসতে দেন ও দেশকে গোছাতে দেন। আপনারা এতদিন কোথায় ছিলেন, এতদিন কেন আপনাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলেননি?
সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহত হাসনাত আবদুল্লাহকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে এই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: জামায়াত নিষিদ্ধের আদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে মঙ্গলবার
গতকাল সচিবালয়ে উদ্ভুত ঘটনার সমালোচনা করে জামায়াতের আমির বলেন, “আনসার সদস্যরা গায়ের জোরে সচিবালয়ে ঢুকে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিপরীতে তারা হাসনাত আব্দুল্লাহকে মারপিট করেন। এরপর ছাত্র-জনতা তাদের প্রতিরোধ করেন। আমরা হাসনাত আব্দুল্লাহকে দেখতে এসেছিলাম এবং তার জন্য দোয়া করেছি, যেন তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যান।”
পরবর্তীতে যদি এমন কোনও ঘটনা ঘটে সেক্ষেত্রে জামায়াতের ভূমিকা কি হবে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “পরবর্তীতে এমন কোনও ঘটনা ঘটলে আমরা জামায়াতে ইসলাম হিসেবে আসবো না, সাধারণ জনগণ হয়ে আসবো। আমরা একা আসবো না, আমরা ছাত্রদের সঙ্গে নিয়ে সহযোদ্ধা হিসেবে আসবো। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি এমন কোনও পরিস্থিতি যেন তৈরি না হয়।
জামায়াতের আমির বলেন, “সম্মুখ সারিতে থেকে যারাএই স্বৈরাচারী সরকারকে ঘটিয়েছে তাদেরকেই এই আনসার সদস্যরা গায়ে হাত তুলেছেন। আমরা আপনাদের দাবি-দাওয়ার পক্ষে আছি কিন্তু আপনাদের সময় দিতে হবে এবং ধৈর্য ধরতে হবে।”