ডিজিটাল প্রতারণা থেকে অর্থ সুরক্ষিত রাখবেন যেভাবে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২৯, ২০২৪, ০৯:৫৫ এএম

ডিজিটাল প্রতারণা থেকে অর্থ সুরক্ষিত রাখবেন যেভাবে

সংগৃহীত ছবি

নড়াইলের রেজওয়ান সিদ্দিকি ইমরান তার ব্যবহৃত ফেসবুক আইডি থেকে ‘ইলোরা ফ্যাশন’ নামের ফেসবুক পেইজে বিভিন্ন রকম কম্বলের বিজ্ঞাপন দেখে এক হাজার ৫৫০ টাকা দামের দুটি কম্বল নেয়ার জন্য অর্ডার দেন।

প্রতারক চক্র ভুক্তভোগীকে ম্যাসেঞ্জারে কল দিয়ে কুরিয়ার খরচ বাবদ অগ্রিম টাকা নেয় এবং ডেলিভারিম্যান পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কৌশলে পর্যায়ক্রমে ২৭ হাজার ৯০০ টাকা ‘নগদ’ একাউন্টের মাধ্যমে হাতিয়ে নেন।

ঘটনাটি চলতি বছর জানুয়ারির। প্রযুক্তির সহায়তায় ঘরে বসে অর্থ লেনদেন জীবনকে অনেক সহজ করলেও এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাও কম নয়। একশ্রেণির প্রতারক সবসময় ওঁৎ পেতে থাকে প্রতারণা করার জন্য। জেল-মামলা যাই-ই হোক, প্রতারণা কমছে না।

এ কারণে ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকতে হবে। অনলাইনে তথ্য চুরি হওয়ার ঝুঁকি মোকাবিলা করার জন্য কী কী উদ্যোগ নিতে হবে, তা ভালো করে বুঝে নিতে হবে-

সব অ্যাকাউন্টের জন্য আলাদা ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড বলতে বোঝানো হয় একটি গোপন সংখ্যা ও অক্ষরের সন্নিবেশ, যেটি অন্যরা সহজে অনুমান করে খুঁজে বের করতে পারবেন না। আপারকেস ও লোয়ারকেস ইংরেজি অক্ষর, সংখ্যা ও বিভিন্ন চিহ্নের (যেমন: অ্যান্ড, এট দ্য রেট, হ্যাশ ইত্যাদি) সমন্বয়ে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করতে পারেন।

গোপন তথ্য অন্যদের দেবেন না

কোনো ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কখনোই আপনাকে ফোন করে আপনার অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত জানতে চাইবে না। সুতরাং এ ধরনের প্রতারকদের সঙ্গে কথা বলবেন না এবং কারও সঙ্গে আপনার অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আলাপ করবেন না।

পিন জানাবেন না

ব্যাংক ও মোবাইল আর্থিক সেবাদাতারা সবসময় তাদের গ্রাহকদের উপদেশ দেয় নিজের পিন নম্বর অন্য কাউকে না জানাতে, কারণ সেক্ষেত্রে আপনার টাকা আত্মসাৎ করার কাজটি প্রতারকদের জন্য সহজ হয়ে যায়।

দুই স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুবিধা নিন

এক স্তরের প্রতিরক্ষার চেয়ে দুই স্তর বেশি কার্যকর। এ কারণে আপনার অ্যাকাউন্টকে প্রতারকদের কাছ থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য অবশ্যই টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন বা দুই স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করা উচিত।

পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন

বিভিন্ন জায়গায় জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত বা পাবলিক ওয়াইফাই সেবা পাওয়া যায়। আপনি যদি এ ধরনের ওয়াইফাই ব্যবহার করে সংবাদ পড়েন বা ব্লগ পোস্ট দেখেন, তাহলে কোনো সমস্যা নেই। তবে আপনার যদি কোনো কারণে কোনো ধরনের অ্যাকাউন্টে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগ ইন করার প্রয়োজন হয়, যেমন: অনলাইন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা, তাহলে পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করে তা না করাই ভালো।

ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অ্যালার্ট সেট করুন

যদি গ্রাহকরা তাদের মোবাইল ও অন্যান্য ডিভাইসে অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করেন, তাহলে যখনই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনো অস্বাভাবিক কার্যক্রম সংঘটিত হবে, তখনই আপনাকে সতর্ক করে দেওয়া হবে।

আপনার ক্রেডিট রিপোর্ট নিয়মিত পরীক্ষা করুন এবং কোনো কার্ড হারিয়ে গেলে শিগগির কর্তৃপক্ষকে জানান। আপনার ব্যাংকের বিস্তারিত তথ্য অথবা ওটিপির ব্যাপারে কাউকে ফোনে জানাবেন না। পর্যটনবান্ধব জায়গাগুলোতে এটিএম ব্যবহার না করাই ভালো।

Link copied!