ডিসেম্বর ১৬, ২০২১, ১২:৩৫ পিএম
মহান বিজয় দিবস ও দেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে লাখো শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে বার্তা দিয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, 'আজ বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী। অনেক রক্ত, অনেক প্রাণ, অনেক আত্মদানে আমাদের এই বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের স্বপ্ন হয়ে থাকুক আমাদের ধ্রুবতারা।'
১৯৭১ সালে ৯ মাসের দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছিল যে স্বাধীনতা তার ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর)। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে রচিত হয়েছিল যে বিজয়গাঁথা তার সুবর্ণজয়ন্তী আজ।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিজয়ের রঙ লাল-সবুজে সেজেছে দেশ। দেশের প্রতিটি কোনায় কোনায় মহাসমারোহে এই মাহেন্দ্রক্ষণ উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
লাখো বাঙালির রক্তের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসে পরাধীনতার শেকল ভেঙে মুক্তি মেলে। দেখতে দেখতে পেরিয়েছে ৫০ বছর। বছর ঘুরে আবার এসেছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। বাঙালির হৃদয়ে এ মাস আনন্দের ও গৌরবের।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও স্বাধীন সূর্যোদয়ের ভিত্তি সূচিত হয়েছিল আরও আগেই। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের দৃঢ় শপথ নেয়।
২৫ মার্চের অপারেশন সার্চলাইটে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নির্মম-নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর দামাল ছেলেরা রুখে দাঁড়াবার শপথ নেয়। শপথ নেয় স্বজন হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার। এরপর দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম আর আত্মদানের মাধ্যমে আসে কাঙ্ক্ষিত বিজয়।
এদিকে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে আজ থেকে দুই দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। মুজিববর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এ আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানমালার ১ম দিন আজ অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল সাড়ে ৪টায় এবং অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিচালনায় থাকবে সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। শপথ গ্রহণ শেষে আলোচনা পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য রাখবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দ।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।
জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলের এ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা সম্মানীয় অতিথিকে “মুজিব চিরন্তন” শ্রদ্ধাস্মারক প্রদান করবেন।