কোটা আন্দোলন

গুলিবিদ্ধ সহকারীর মৃত্যুর খবর জানালেন অভিনেত্রী তানজিন তিশা

শোবিজ ডেস্ক

জুলাই ২৪, ২০২৪, ০৮:৪০ পিএম

গুলিবিদ্ধ সহকারীর মৃত্যুর খবর জানালেন অভিনেত্রী তানজিন তিশা

কয়েক দিন ধরে দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে। এতে ইন্টারনেটনির্ভর সব কার্যক্রমও বন্ধ আছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ইন্টারনেট সেবা স্বল্প পরিসরে চালু হলে দেশের অনেককে ফেসবুকে সক্রিয় হতে দেখা গেছে। এই সময়ে অভিনয়শিল্পী তানজিন তিশা তার দেওয়া ফেসবুক পোস্টে আপনজন গুলিতে নিহতের খবর দেন। ফেসবুক পোস্টে তিশা জানান, সম্প্রতি মারা গেছে তার সহকারী আলামিন। গতকাল রাতে তিশা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তথ্যটি নিশ্চিত করেন বলে বেশ কিছু সূত্রে জানা গেছে।

জানা গেছে, সহকারী আলামিনের সঙ্গে কয়েকটি স্থিরচিত্র ফেসবুকে শেয়ার করে তানজিন তিশা লেখেন, ‘একটা না দুই-দুইটা গুলি কী করে নিয়েছে এই বাচ্চা ছেলেটা? আলামিন কোনও দল অথবা কোনওকিছুর সঙ্গে জড়িত ছিল না। ওর বিগত ৪ বছর জীবনটা আমার সঙ্গে, আমার কাজের ও আমার পরিবারের সঙ্গেই কেটেছে। ওর জীবনে কোনো পাপ নাই। খুব ছোট একটা মানুষ, এই ৪ বছর আমার কাছে বড় হতে দেখলাম। দোয়া করবেন, সবাই আল্লাহর কাছে যেন সুন্দর জীবনে থাকে।’

ফেসবুক পোস্টে সহকারী আলামিনকে নিয়ে তানজিন তিশা স্মৃতিকাতর হয়ে লিখেছেন, ‘আপনারা হয়তো সবাই ওকে আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে চেনেন। কিন্তু ও আমার অ্যাসিস্ট্যান্ট নয়, ও আমার ছোট ভাই। গত চার বছর ধরে ও আমার সঙ্গেই থাকে। আমার পরিবারে থাকে, পরিবারের অংশ হয়ে। আপুর কী লাগবে, আপু কী খাবে, আপু কখন ঘুমাবে, আবার কখন মনটা খারাপ, মনটা ভালো- সবকিছু এই ছেলেটাই জানত আর দেখত!’

আলামিন যেমন তানজিন তিশাকে নিয়ে ভাবত, তেমনি তিশার তাকে নিয়ে পরিকল্পনা ছিল। ফেসবুক পোস্টে সে কথাই তুলে ধরেছেন তিনি। ফেসবুক পোস্টে তিশা এ-ও লিখেছেন, “আলামিন সারাটা দিন আমার বড় একটা ছায়ার মতো আমার পাশে বসে থাকত। আমার কত পরিকল্পনা ওকে নিয়ে! ওকে ড্রাইভিং শেখাবো! জোর করে বলতাম, পড়াশোনাটা নিয়মিত করতে, পরীক্ষাটা দিতে। কত বকা দিয়েছি, আবার একটু পর ঠিকই বোঝাতাম, আবার মন খারাপও করে থাকত।”

আলামিন কোথায়, কখন কীভাবে গুলিতে নিহত হয়েছে, সে ব্যাপারে ফেসবুক পোস্টে কিছুই উল্লেখ করেননি তানজিন তিশা। এ বিষয়ে জানতে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে খুদে বার্তা ও একাধিকবার কল করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তার ঘনিষ্ঠ পরিচালক রাফাত মজুমদার রিংকু বলেন, “সহকারীর মৃত্যুর পর তিশা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। হয়তো এ কারণে ফোন রিসিভ করছেন না। তবে ঘটনা সত্য। শুনেছি, শুক্রবার বিকেলে উত্তরা হাউস বিল্ডিং এলাকায় আল আমিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। শনিবার সকালে তিশা আমাকে ফোন দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে এ খবর জানায়। ওর মনটা খারাপ।”

Link copied!