বলিউড অভিনেতা সালমান খানের বাসভবনে অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় দুজন অজ্ঞাত ব্যক্তি। পরবর্তীতে বিষ্ণোই গ্যাং সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে থাকে পুলিশ। এখন পর্যন্ত ঘটনায় অভিযুক্ত বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে, সালমানকে হত্যা করতে মাত্র ২৫ লাখ রুপির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই।
অভিযুক্ত পাঁচজনের বিরুদ্ধে নতুন চার্জশিট বা অভিযোগপত্র দাখিল করেছে মুম্বাই পুলিশ। গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই সালমান খানকে হত্যার নীলনকশা করেছিলেন, তাদের জেরা থেকেই উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য। মুম্বাই পুলিশ জানায়, এই অভিযুক্তরা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত। তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অন্যান্য অভিযোগ করা হয়েছে।
মুম্বাই পুলিশের চার্জশিটে বলা হয়, ভাইজানকে হত্যা করতে বিষ্ণোই গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের সঙ্গে ২৫ লাখ রুপির চুক্তি হয়েছিল।
বলিউডের এই সুপারস্টারকে হত্যার পরিকল্পনা চলতে থাকে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে যে, পাকিস্তান থেকে এই গ্যাং বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র এনেছে এবং আরও আনানোর পরিকল্পনা ছিল। এসব অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একে-৪৭, একে-৯২, এম-১৬ রাইফেল, তুরস্কের বিখ্যাত জিগানা পিস্তল প্রভৃতি। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৯ মে এই জিগানা পিস্তল দিয়েই পাঞ্জাবের গায়ক সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যা করা হয়েছিল।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, সালমানকে ঘিরে এবার বড় ধরনের ষড়যন্ত্র করা হয়। তার গতিবিধির ওপর নজরদারিতে ৬০-৭০ জন নিযুক্ত হয়েছিরেন। তাদের দায়িত্ব ছিল সালমান খানের অবস্থান ও গতিবিধি অনুসরণ করা। বলিউড ভাইজানকে হত্যার জন্য যাদের নিযুক্ত করা হয়েছিল তারা সবাই ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক। তারা শুধু গুলি চালানোর হুকুমের অপেক্ষায় ছিলেন বলেও জানায় মুম্বাই পুলিশ।
গত ১৪ এপ্রিল সালমানের বাসভবনের সামনে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গুলি নিক্ষেপকারী ওই দুজনকে হয় গ্রেপ্তারে সক্ষম হয় ভারতীয় পুলিশ।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস