প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার মাহিয়া মাহি। তবে স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার ভোটযুদ্ধে নেমে। বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে গেলেন এ অভিনেত্রী। সাথে হারিয়েছেন জামানতও। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া এই নায়িকা পেয়েছেন মাত্র ৯ হাজার ৯টি ভোট। তার আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরী। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৫৯২ ভোট।
নির্বাচনে কাস্ট হওয়া মোট ভোটের আট ভাগের এক ভাগের কম বা শতকরা হিসেবে সাড়ে বারো শতাংশ ভোটের কম ভোট কোনো প্রার্থী পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়।
সেই হিসাবে জামানত বাঁচাতে মাহির প্রয়োজন ছিল অন্তত ২৫ হাজার ৫৩৪ ভোটের। কিন্তু এই নায়িকা পেয়েছেন আট ভাগের এক ভাগেরও কম অর্থাৎ ৪.০৯ শতাংশ ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফলে জানা যায়, এই আসনের ১৫৮ কেন্দ্রের মধ্যে ১৭টি কেন্দ্রে একটিও ভোট পাননি ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহিয়া মাহি।
এই আসনে বিজয়ী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ওমর ফারুক চৌধুরীর নিকটম প্রতিদ্বন্দ্বী কাঁচি প্রতীকের গোলাম রাব্বানী পেয়েছেন ৯২ হাজার ৪১৯ ভোট।
ভোট যুদ্ধে নেমে এতোকিছু ঘটে যাওয়ার পর অনেকটা আড়ালেই চলে গিয়েছিলেন তিনি। সাংবাদিকদেরও ফোন রিসিভ করছিলেন না। এমনকি নির্বাচনে হেরে নিজের দেয়া কথাও রাখেননি মাহি। রোববার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে তানোর উপজেলার মুণ্ডুমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে যান মাহি।
সে সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফলাফল যা হওয়ার হবে, আমি হারি বা জিতি ইনশাআল্লাহ ভোটের পরের দিন পুরো এলাকায় একটা শোডাউন দিব। হেরে গেলেও সবাইকে জানান দেব, আমি তাদের (জনগণ) সঙ্গে আছি।’ তবে শেষ পর্যন্ত কথা রাখেননি মাহি। সোমবার (৮ জানুয়ারি) নিজের নির্বাচনী এলাকায় কোনো শোডাউন দেননি তিনি।
তবে ভোটের পরদিন (সোমবার) রাত ১০টা ৩৭ মিনিটে ফেইসবুক লাইভে আসেন ঢাকাই সিনেমার এই নায়িকা। লাইভে এসে তিনি বলেছেন, ‘হেরে গেলেও ভেঙে পড়েননি তিনি। কম ভোট পেলেও আমি মেয়ে হয়ে ভোট করেছি তা অ্যাপ্রেশিয়েট করা উচিত।’ তিনি আরো বলেন, ‘সবাই নিশ্চয় ভাবছেন আমার প্রচণ্ড মন খারাপ। কিছুটা তো মন খারাপ হবেই। কারণ, আমি হেরে গেছি গেইমে। নির্বাচন একটা গেইম।