অপ্রাপ্তবয়স্ক হলে আপনার জন্য নয় ‘পেয়ারার সুবাস’। এই পেয়ারার সুবাস বলতে ফল পেয়ারা নয়, বরং এ হলো নুরুল আলম আতিক পরিচালিত এক ছবির নাম। যে ছবির নির্মাণ শুরু হয়েছিল আট বছর আগে। আর কয়েক দফায় শুটিং পিছিয়ে-নানা জটিলতা পেরিয়ে শেষ হয় চার বছর আগে।
কেন ছবিটি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য সেটি জানতে চাইলে পরিচালক নুরুল আলম আতিক বলেন, “ছবিটির বিষয়বস্তু প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য হওয়ায় আমরা বাচ্চাদের সিনেমা হলে আসতে বারণ করছি। আমার ধারণা, প্রাপ্তবয়স্ক এবং সাধারণ দর্শকেরা ‘পেয়ারার সুবাস’ দেখলে খুবই পছন্দ করবেন।”
আতিক আরও বলেন, “আমরা তো তেমন গন্ধের ছবি দেখি না। পেয়ারার সুবাস-এ ঘ্রাণ হলও ট্রিগার পয়েন্ট। এটা শরীরের ঘ্রাণ। সুগন্ধি হতে পারে আবার দুর্গন্ধও হতে পারে। সুগন্ধের সঙ্গে প্রকৃতির একটি অদ্ভুত কারবার আছে। বিপরীত লিঙ্গের যাদের প্রাণ আছে, তারা ঘ্রাণ থেকে জোড়া বাঁধে। ‘পেয়ারার সুবাস’ ঘ্রাণ থেকে বিস্তৃতি লাভ করে। এ কারণে পেয়ারা নামের একটি মেয়ে ও গন্ধের তাড়নার জীবনে সম্পর্কগুলো অবস্থান দেখানো হচ্ছে এতে।”
সিনেমা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী সুষমা সরকার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “ভালোবাসাহীন ভালোবাসার গল্প এটি। এখানে আমি যে চরিত্রটি করেছি, সেটা আমার জন্য নতুন। দর্শক সিনেমা হলে গিয়ে দেখলে আমাদের সার্থকতা আসবে।”
“পেয়ারার সুবাস” সিনেমার মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান। আরও আছেন তারিক আনাম খান, আহমেদ রুবেল, সুষমা সরকার, নূর ইমরান মিঠু, মাহমুদ আলম প্রমুখ।
ছবিটি প্রসঙ্গে জয়া আহসান বললেন, “আমি ছবিটি নিয়ে বলতে পারি, এটা একটা দুর্ধর্ষ ছবি। আতিক যে বিষয়টি নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেছে, এ ধরনের বিষয় সাধারণত কেউ স্পর্শ করে না। কেউ সাহস দেখায় না। সেই হিসেবে আতিক এমন একটা বিষয় নিয়ে ছবি নির্মাণের সাহস দেখিয়েছে।”
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়েছিল ২০১৬ সালে। নানা জটিলতা পেরিয়ে ২০২০ সালে শেষ হয় এর চিত্রায়ন। এরপর পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও তিন বছর। গত বছর ৪৫তম মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়েছে বাংলাদেশের সিনেমা “পেয়ারার সুবাস”।