ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ০৩:২২ পিএম
ভারতীয় হিন্দি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার শুটিংয়ের সাজঘরে উদ্ধার হয় বিশ বছর বয়সী অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার দেহ। শনিবার তুনিশার অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তাঁর সহ-অভিনেতার দিকে অভিযোগ তোলেন অভিনেত্রীর মা।
‘আলিবাবা: দাস্তান-ই কাবুল’-এ তুনিশার সহ-অভিনেতা শীজ়ান খানের বিরুদ্ধে মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। আর এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মুম্বাই পুলিশ শীজ়ানকে গ্রেফতার করে।
তুনিশার মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই সমাজমাধ্যমে একাংশ অভিনেত্রীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর ছড়াতে থাকেন। এ পরিস্থিতিতে মুম্বাই পুলিশ জানিয়েছিল, ময়নাতদন্তের পর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। অবশেষে প্রকাশ্যে এসেছে তুনিশার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট।
রবিবার প্রকাশ হওয়া ময়না তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে মুম্বাই পুলিশ তুনিশার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার দাবিকে নস্যাৎ করে দিয়েছে।এতে মায়ের অভিযোগও টিকেনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, শ্বাসরোধ বা দমবন্ধ হয়েই মৃত্যু হয়েছে হিন্দি ছোট পর্দার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর। শরীরে কোনও রকম আঘাতের চিহ্ন মেলেনি।
আনন্দবাজার, টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, তুনিশা তার সহশিল্পী শেজান খানের মেকআপ রুমে আত্মহত্যা করেন। শুটিংয়ের পর শেজান মেকআপ রুমে যাওয়ার পর দরজা বন্ধ থাকায় বেশ কয়েকবার চিৎকার করে তুনিশাকে ডাকেন। এরপর মেকআপ রুমের দরজা ভেঙে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তুনিশাকে পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও ইনস্টাগ্রামে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন তুনিশা। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ‘যারা নিজেদের প্যাশন দ্বারা চালিত হয়, তাদের কখনো থামানো যায় না।’ অথচ এমন ইতিবাচক পোস্টের কয়েক ঘণ্টা পরেই নিজের জীবনের চলন্ত চাকা নিজেই থামিয়ে দিলেন অভিনেত্রী।
প্রসঙ্গত, শিশুশিল্পী হিসাবে কেরিয়ার শুরু করেন তুনিশা। ‘ভরত কা বীর পুত্র: মহারানা প্রতাপ’ সিরিয়ালেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তার পর ‘আলিবাবা: দাস্তান-ই কাবুল’-এ রাজকুমারী মরিয়মের ভূমিকায় অভিনয় করছিলেন তিনি। শুধু সিরিয়ালে নয়, ‘ফিতুর’, ‘বার বার দেখো’, ‘কহানি ২’-এর মতো হিন্দি ছবিতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে হিন্দি ছোট পর্দায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।