অ্যানফিল্ডে ২-০ গোলে জিতেছিল লিভারপুল। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল বলে কথা! প্রথম লেগে জয়ে স্বস্তিতে থাকার উপায় ছিল না লিভারপুলের। মঙ্গলবার দ্বিতীয় লেগে ৪১ মিনিটের মধ্যে ২ গোল শোধ দিয়ে দেয় ভিয়ারিয়াল। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায় লিভারপুল। ২০১৯ সালের সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নরা আরো ৩ গোল করে ব্যবধান নিয়ে যায় ৫-২ এ। আর আবারো চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠে ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল।
বুধবার চ্যাম্পিয়নস লিগের অপর সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে খেলবে রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটি। সিটি ৪-৩ গোলে এগিয়ে রয়েছে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রয়েছে খেলা। লিভারপুল ২৮ মে ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ নয়তো ম্যানসিটির মুখোমুখি হবে।
ভিয়ারিয়াল অলআউট খেলার চিন্তা করে মাঠে নামে। ম্যাচের ৩ মিনিটে তারা গোল পেয়ে যায়। দিয়া গোলটি করেন। ৪১ মিনিটে কোকোলিন ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। দুই লেগ মিলিয়ে তখন ভিয়ারিয়াল ২ লিভারপুল ২।
লিভারপুল পরের অর্ধে হুশ ফিরে পায়। ৬২ মিনিটে সালাহর পাস থেকে গোল করেন ফ্যাবিনহো। ৬৭ মিনিটে আলেকজান্ডার আরনল্ডের পাস থেকে হেডে গোল আদায় করেন লুইস ডিয়াজ। ৭৪ মিনিটে ভিয়ারিয়ালের গোলরক্ষক বল ক্লিয়ার করতে বক্সের বাইরে আসেন। সাদিও মানে চিলের মত বল ছো দিয়ে নিয়ে গিয়ে বল জালে পাঠিয়ে দেন। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লিভারপুল ৩-২ ব্যবধানে জেতে। দুই লেগ মিলিয়ে জয় ৫-২ ব্যবধানে।
লিভারপুল দশমবারের মত ফাইনালে উঠেছে। তারা ৬ বারের চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী। অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়াল সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে তারা। সামনে এখন শিরোপা জয়ের আগে ফাইনালে জ্বলে উঠতে হবে অলরেডদের।