শ্রীলংকার হাত শূন্য থাকলো। এই বিশ্বকাপে টানা ৩ ম্যাচ হেরেছে ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা। অন্যদিকে টানা ২ ম্যাচ হারের পর জয়ের মুখ দেখলো ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে ম্যাচটি জিতেছে। আগে ব্যাট করে শ্রীলংকা ২০৯ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে ৩৫.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া।
৪৭ রানে ৪ উইকেট শিকারি অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা ম্যাচসেরা হয়েছেন। তিনি অস্ট্রেলিয়াকে লড়াইয়ে রেখেছেন।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে মিচেল মার্শ ৫২, মারনাস লাবুসেন ৪০ ও জস ইনলিস ৫৮ রান করেন। ম্যাক্সওয়েল ৩১ ও মার্কাস স্টয়নিস ২০ রানে থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
২১০ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারে ১৫ রান সংগ্রহ করেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার মিচেল মার্শ ও ডেভিড ওয়ার্নার। ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়ে চতুর্থ ওভারে জোড়া ধাক্কা খায় অসিরা। ওয়ার্নারকে ১১ রানে লেগ বিফোর আউট করেন পেসার দিলশান মাদুশঙ্কা।
ওয়ার্নারের বিদায়ে ক্রিজে আসেন স্টিভেন স্মিথ। ওভারের শেষ বলে মাদুশঙ্কার বলে লেগ বিফোর হন রানের খাতা খুলতে না পারা স্মিথ। ২৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া।
তৃতীয় উইকেটে মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে দলকে চাপমুক্ত করেন আরেক ওপেনার মিচেল মার্শ। ৬২ বলে ৫৬ রানের জুটি গড়েন তারা। এই জুটিতেই ৩৯ বলে ওয়ানডেতে ১৮তম হাফ-সেঞ্চুরি করেন মার্শ। হাফ-সেঞ্চুরির পর রান আউট হন ৯টি চারে ৫১ বলে ৫২ রান করা মার্শ।
দলীয় ৮১ রানে মার্শ ফেরার পর অস্ট্রেলিয়ার জয়ের পথ তৈরি করেন লাবুশেন ও উইকেটরক্ষক জশ ইংলিস। শ্রীলংকার বোলারদের দারুনভাবে সামলে ৮৬ বলে ৭৭ রান যোগ করেন তারা। ২টি চারে ৪০ রান করা লাবুশেনকে শিকার করে আবারও শ্রীলংকাকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন মাদুশঙ্কা।
এরপর ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের পথ সহজ করেন ইংলিস। দলের জয় ১৮ রান দূরে থাকতে স্পিনার ওয়েলালাগের বলে আউট হন ইংলিস। ৪৬ বলে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সহায়তায় ৫৮ রান করেন ইংলিস।
ষষ্ঠ উইকেটে ১৩ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৩ রান করে অস্ট্রেলিয়াকে স্বস্তির জয় এনে দেন ম্যাক্সয়েল ও মার্কাস স্টয়নিস। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২১ বলে অপরাজিত ৩১ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। ১০ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২০ রানে অপরাজিত থাকেন স্টয়নিস। শ্রীলংকার মাদুশঙ্কা ৩৮ রানে ৩ উইকেট নেন।