বিশ্বকাপ থেকে আগেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। শঙ্কা ছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা নিয়ে। তবে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে বেশ কিছু সমীকরণ নিয়ে বিশ্বকাপে নিজের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে অজিদের ৩০৭ রানের টার্গেট দিয়েছে টাইগাররা।
১১ নভেম্বর (শনিবার) পুনেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান এসেছে তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। তাছাড়া ৪৫ রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। অজিদের হয়ে রানে উইকেট শিকার করেছেন।
ব্যাটিংয়ে নেমে দেখে-শুনে শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার তামিম-লিটন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তারা। দুই ওপেনারের দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬২ রান তুলে বাংলাদেশ।
৩৬ রান করে তামিম ফেরায় ভাঙে ৭৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। ১২তম ওভারের দ্বিতীয় বলটি শর্ট লেন্থে করেছিলেন শন অ্যাবট। শরীর বরাবর আসা বাউন্সার লাফিয়ে উঠে ডিফেন্স করতে যান তামিম, ব্যাটের উপরের দিকে লেগে ফিরতি ক্যাচ যায় বোলারের কাছে। তাতে সম্ভাবনাময় ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে সফট ডিসমিসালে।
তামিমের বিদায় রান রেটে কোনো প্রভাব ফেলেনি। কারণ উইকেটে এসেই শট খেলতে শুরু করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাতে দলের রানের গতিও বাড়ে। প্রথম ৫০ রান করতে লেগেছিল ৫০ বল, পরের ৫০ রান এসেছে ৪২ বলে, সবমিলিয়ে ৯২ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে বাংলাদেশ।
কিন্তু তামিমের মতো হঠাৎ নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন লিটন। দলীয় ১০৬ রানে অ্যাডাম জ্যাম্পার বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে আউট হন লিটন। ৪৫ বলে ৩৬ রান করেন তিনি।
এরপর ক্রিজে আসা তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন নাজমুল হাসান শান্ত। মারমুখি ভঙ্গিতে ব্যাট করতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। তবে রান আউটে কাটা পড়েন শান্ত। দলীয় ১৭০ রানে ৫৭ বলে ৪৫ রান করে সাজঘরে ফির যান শান্ত।
শান্তর বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন রিয়াদ। তবে শান্তর মতো রিয়াদও রান আউটে কাটা পড়েন। দলীয় ২১৪ রানে ২৮ বলে ৩২ রান করে আউট হন রিয়াদ। এরই মাঝে ৬১ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন হৃদয়।
এরপর ক্রিজে এসেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি মুশফিকুর রহিম। ২৫১ রানে ২৪ বলে ২১ রান করে আউট হন তিনি। মুশফিকের বিদায়ের পর ক্রিজে আসা মেহেদি হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন হৃদয়।
তবে দলীয় ২৮৬ রানে ৭৯ বলে ৭৪ রান করে আউট হন হৃদয়। তবে মিরাজের ব্যাটে তিনশো পেরোয় বাংলাদেশ। তবে দলীয় ৩০৩ রানে ২০ বলে ২৯ রান করে আউট হন মিরাজ। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।