নভেম্বর ৩০, ২০২৩, ০১:২৮ পিএম
সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে রান করাটা যে কঠিন হবে তার আভাস মিলেছিল আগেই। এবার সেটা প্রমাণ করলেন কিউই বোলাররা। দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ধীরগতির শুরু করলেও বেশিক্ষণ টিকলো না বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। স্কোরবোর্ডে ২৬ রান তুলতেই টপ অর্ডারের দুই ব্যাটারকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ও মমিনুল লিড বড় করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দলীয় সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭৭ রান। যেখানে বাঁহাতি দুই ব্যাটারই ২৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
তৃতীয় দিনে এসেও সিলেটের উইকেটে খুব বেশি ভাঙন ধরেনি। তবে প্রথম দুই দিনের তুলনায় আজ সকাল থেকে কিছুটা হলেও বাড়তি টার্ন পাচ্ছেন স্পিনাররা। সেই টার্নেই পরাস্ত হলেন জাকির হাসান। ১৩তম ওভারে অ্যাজাজ প্যাটেলের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল টার্ন করে পায়ে আঘাত হানে। আম্পায়ার আউট দিতে খুব বেশি সময় নেয়নি। ৩০ বলে ১৭ রান করে ফিরেছেন এই ওপেনার।
প্রথম ইনিংসে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। দ্বিতীয় ইনিংসেও ভাল শুরু করেছিলেন এই ইনফর্ম ওপেনার। তবে আরো একবার ভাগ্যের কাছে হার মানতে হলো তার। ১৪তম ওভারের শেষ বলে টিম সাউদিকে স্টেট ড্রাইভ করেছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সেই বল বোলারের হাত ছুঁয়ে উইকেটে গিয়ে লাগে, জয় তখন ছিলেন পিচের বাইরে। ফলে ৪৬ বলে ৮ রান করে রান আউট কাটা পড়েছেন জয়।
এদিকে তৃতীয় দিনের প্রথম ঘণ্টা বাংলাদেশের জন্য ছিল ভীষণ হতাশার। উইকেটের দেখা মিলছিল না, রানও আটকে রাখতে পারছিলেন না বোলাররা। পরে কাইল জেমিসন ও টিম সাউদির দারুণ ব্যাটিংয়ে লিডও নিয়ে নেয় কিউইরা।
তবে লিডটা বড় হতে দেননি মুমিনুল হক। আগের দিন গ্লেন ফিলিপসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙা এই ‘অকেশনাল বোলার’ এদিনও বল হাতে একই কাজ করেন। পানি বিরতির পরের ওভারেই তাকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক নাজমুল হোসে শান্ত।
প্রথম বলেই তিনি জেমিসনকে ফেরান। ৭০ বল খেলে ২৩ রান করা এই ব্যাটার হন এলবিডব্লিউ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। ভাঙে সাউদির সঙ্গে ৫২ রানের জুটি। ওই ওভারেই শেষ উইকেটটিও নিয়ে নেন মুমিনুল। ৬২ বলে ৩৫ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার পর তাকে বোল্ড করেন তিনি।