দরজায় কড়া নাড়ছে বিপিএলের দশম আসর। ক্রিকেটের দিক থেকে যেমনই হোক না কেন অর্থের দিক থেকে বিসিবি বিশ্বের অন্যতম সম্পদশালী ক্রিকেট বোর্ড। যা প্রতিনিয়ত আরও ফুলে ফেঁপে উঠছে বিপিএল আয়োজন করার মধ্য দিয়ে। অনেক আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও সফলভাবে বিপিএলের নয়টি আসর পার করেছে বিসিবি। এবার দশম আসর আরও জাঁকজমকভাবে আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট বোর্ড।
বিপিএলের আয়ের বিবরণী পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি, স্পন্সরশিপ ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাবদ প্রতি মৌসুমের বিপিএল থেকে ম্যাচ প্রতি বিসিবির আয় কোটি টাকারও বেশি।।
বিপিএল থেকে আয়ের সবচেয়ে বড় খাত সম্প্রচার স্বত্ব। এ ছাড়া টুর্নামেন্টের স্পন্সরশিপ ও ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ফি থেকেও প্রতি বছর আসে মোটা অঙ্কের টাকা।
গতবার তিন বছরের জন্য সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকায়। প্রতি মৌসুমে এই স্বত্ব থেকে বিসিবি পাবে ৩৫ কোটি টাকা। চলতি মৌসুমে ম্যাচ হবে ৪৬টি। শুধু এই খাত থেকেই ম্যাচ প্রতি বিসিবির আয় অর্ধ-কোটি টাকার উপরে।
তিন আসরের জন্য বিপিএলের টাইটেলসহ স্পন্সরশিপ বিক্রি হয়েছে ১৬ কোটি টাকা। গত মৌসুমে ৫ কোটি টাকা ও এবারসহ আগামী মৌসুমে সাড়ে ৫ কোটি করে স্পন্সরশিপ থেকে আয় করবে বিসিবি।
আয়ের আরও একটি বড় খাত হলো ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি। প্রতি মৌসুমের জন্য প্রত্যেকটি দলকে বিসিবিকে দিতে হবে দেড় কোটি টাকা। প্রতি মৌসুমে শুধু ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি বাবদ বিসিবির আয় সাড়ে ১০ কোটি টাকা।
তবে আয়ের মতো বিপিএলে খরচের খাতও বড়। তিনটি ভেন্যুতে বিপিএলে পরিচালনার যাবতীয় খরচ হতে শুরু করে সম্প্রচার প্রোডাকশন খরচ বিসিবি বহন করে থাকে। এ ছাড়া আছে বড় অঙ্কের প্রাইজমানিও।
১৯ জানুয়ারি শুরু হবে দেশের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগটি। শেষ হবে পহেলা মার্চ, ফাইনালের মধ্য দিয়ে। ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে ৪৩ দিনে খেলা হবে ৪৬ ম্যাচ। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স-দুরন্ত ঢাকার ম্যাচ দিয়ে ১৯ জানুয়ারি মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএল শুরু হবে। দিনের অপর ম্যাচে সন্ধ্যায় মুখোমুখি হবে সিলেট সিক্সার্স-চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।