বাংলাদেশের টার্গেট ২৫৮ রান

চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে শ্রীলংকা

স্পোর্টস ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩, ০৭:১১ পিএম

চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে শ্রীলংকা

এশিয়া কাপের ম্যাচে বাংলাদেশকে জয়ের জন্য ২৫৮ রানের টার্গেট দিয়েছে শ্রীলংকা। আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৫০ ওভারে লঙ্কানরা ৯ উইকেটে ২৫৭ রান সংগ্রহ করেছে।

সাদিরা সামারাউইকমারা ৯৩ রান করেছেন। কুশল মেন্ডিস ৫০ করেছেন এ ম্যচে। বাংলাদেশের দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও তাসকিন ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন। 

শরীফুল ইসলাম ৪৮ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন। বাংলাদেশ এই ম্যাচে ২টি ক্যাচ মিস করেছে। মুশফিক ও শামীম ক্যাচ ফেলেছেন। প্রেমাদাসার পিচে ২৫৭ রান ভাল স্কোর। বাংলাদেশ কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে এখন।

বাংলাদেশের বাঁচা-মরার লড়াই। হারলে বিদায়ের মুখে চলে যাবে তারা। ফলে জয় দরকার টিকে থাকার জন্য। পরের ম্যাচটি বাংলাদেশের রয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে। 

সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছিলো বাংলাদেশ। ঐ ম্যাচের একাদশ থেকে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ব্যাটার আফিফ হোসেনের পরিবর্তে সুযোগ পেয়েছেন বাঁ হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। গত মার্চে সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। ওয়ানডেতে ৭ ম্যাচে ৮ উইকেট আছে নাসুমের।
এখন পর্যন্ত ৫২বার ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-শ্রীলংকা। এরমধ্যে শ্রীলংকা ৪১বার এবং বাংলাদেশ ৯টি ম্যাচে জিতেছে। বাকী ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। 

৩৪ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বেঁধে শ্রীলংকার রান ১শতে নিয়ে যান নিশাঙ্কা ও তিন নম্বরে নামা কুশল মেন্ডিস। অবশ্য বাংলাদেশের ফিল্ডারদের ভুলে দলের রান তিন অংকে নিতে সক্ষম হন  নিশাঙ্কা-কুশল। ব্যক্তিগত ২৯ রানে শরিফুলের বলে শামীম হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে জীবন পান কুশল।
শেষ পর্যন্ত ২৪তম ওভারে শরিফুলের হাত ধরে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক-থ্রু পায় বাংলাদেশ। ৫টি চারে ৬০ বলে ৪০ রান করা নিশাঙ্কাকে লেগ বিফোর আউট করেন শরিফুল। কুশলের সাথে ১০৭ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়েন নিশাঙ্কা।
ব্রেক-থ্রুর এক ওভার পর শ্রীলংকা শিবিরে আবারও আঘাত হানেন শরিফুল। ২৬তম ওভারের প্রথম বলে ওয়ানডেতে ২৪তম হাফ-সেঞ্চুরি করা কুশলকে শিকার করেন তিনি। ডিপ থার্ডম্যানে তাসকিনকে ক্যাচ দেন ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭৩ বলে ৫০ রান করা কুশল।
পরপর দুই ওভারে শরিফুলের জোড়া আঘাতে দুই সেট ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলংকা। এ অবস্থায় লংকানদের উপর চাপ বাড়িয়ে দেন তাসকিন ও হাসান। লংকান মিডল অর্ডারের দুই ভরসা চারিথ আসালঙ্কাকে ১০ রানে তাসকিন এবং ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ৬ রানে আউট করেন  হাসান।
৩৮তম ওভারে ১৬৪ রানে পঞ্চম উইকেট পতনে শ্রীলংকাকে চাপে ফেলে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। দলকে চাপমুক্ত করতে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন সাদিরা সামারাবিক্রমা ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ষষ্ঠ উইকেটে হাফ-সেঞ্চুরির জুটিতে শ্রীলংকাকে রান ২শ পার করেন তারা। এই জুটিতে ৪৪ বল খেলে ওয়ানডেতে পঞ্চম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সামারাবিক্রমা।
৪৭তম ওভারে শানাকাকে বোল্ড করে জুটি ভাঙ্গেন হাসান। সামারাবিক্রমার সাথে ৫৭ বলে ৬০ রান যোগ করেন শানাকা। এর মধ্যে   ৩২ বলে ২৪ রান করেন শানাকা।
দলীয় ২২৪ রানে শানাকা ফেরার পর শ্রীলংকাকে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৭ রানের সংগ্রহ এনে দেন সামারাবিক্রমা। ঝড়ো গতিতে ব্যৗাট চালিয়ে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৭২ বলে ৯৩ রান করেন ইনিংসে শেষ বলে আউট হওয়া সামারাবিক্রমা। গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫৪ রান করেছিলেন তিনি।
বাংলাদেশ একাদশ : সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাইম, মেহেদি হাসান মিরাজ, লিটন দাস, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, শামিম হোসেন পাটোয়ারী, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলাম।
শ্রীলংকা একাদশ : দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), পাথুম নিশাঙ্কা, দিমুথ করুণারতেœ, কুসল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দুনিথ ওয়েলালাগে, মহেশ থিকশানা, কাসুন রাজিথা ও মাথিশা পাথিরানা। 

 

Link copied!