নভেম্বর ৮, ২০২৫, ০২:৩৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
তুরস্কের ফুটবল এখন চরম বিতর্কের মুখে। দেশটির ফুটবল অঙ্গনে বড় ধরনের ফিক্সিং ও জুয়ার কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়েছে, যার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে মাঠের ভেতর-বাইরে। এই ঘটনায় ২১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে তুরস্কের প্রসিকিউটররা—যাদের মধ্যে রয়েছেন ১৭ জন রেফারি এবং শীর্ষ লিগের একটি ক্লাবের সভাপতি।
ইস্তানবুলের প্রধান প্রসিকিউটর কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ভোরে ইস্তানবুলসহ ১২টি প্রদেশে একযোগে অভিযান চালিয়ে অন্তত ১৮ জনকে আটক করা হয়। রেফারিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ—দায়িত্বের অপব্যবহার ও ম্যাচের ফলাফল প্রভাবিত করার চেষ্টা।
ক্রীড়ামাধ্যম ইএসপিএন জানায়, গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন তুরস্ক সুপার লিগের ক্লাব আইউপস্পোরের সভাপতি মুরাত ওজকায়া এবং কাসিমপাসার সাবেক মালিক ফাতিহ সারাচ।
এই ঘটনার আগে, গত সপ্তাহেই তুরস্ক ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ) ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়—একযোগে ১৪৯ জন রেফারি ও সহকারী রেফারিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। সরকারি তদন্তে চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে: দেশের সক্রিয় ৫৭১ জন রেফারির মধ্যে ৩৭১ জনেরই বেটিং কোম্পানিতে অ্যাকাউন্ট রয়েছে!
আরও অবাক করার মতো বিষয় হলো, ১৫২ জন রেফারি সরাসরি ফুটবল ম্যাচে বাজি ধরেছেন, যাদের মধ্যে ৭ জন শীর্ষ পর্যায়ের রেফারি ও ১৫ জন সহকারী রেফারি। তদন্তে জানা গেছে, কিছু রেফারি গত পাঁচ বছরে ১০ হাজারেরও বেশি ম্যাচে বাজি ধরেছেন। এমনকি একজন রেফারি একাই বাজি ধরেছেন ১৮,২২৭টি ম্যাচে!
তুরস্কের ক্রীড়া মহলে এখন একটাই প্রশ্ন—এই কেলেঙ্কারি ফুটবলের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কতটা নাড়িয়ে দেবে?
ফুটবলপ্রেমীরা অপেক্ষা করছেন—এই ঝড় থামিয়ে তুরস্কের মাঠে আবার কখন ফিরবে সৎ প্রতিযোগিতার আবহ।