অক্টোবর ১০, ২০২৫, ১২:১৭ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই হতাশ হয়ে মাঠে বসে পড়লেন হামজা চৌধুরী। তার চোখে জল ছলছল করছে। টিভি ক্যামেরা খুঁজে নিল সামিত সোমকেও। কানাডিয়ান প্রবাসী এ ফুটবলারও নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারছিলেন না। ফাহামেদুল তো মাঠেই শুয়ে পড়লেন। জার্সি টেনে নিয়ে যেন নিজের মুখ লুকাতে চাইলেন তিনি।
হামজা-সামিতদের এমন ভেঙে পড়ার যথেষ্ট কারণও আছে। হংকংয়ের বিপক্ষে শুরুতে হামজার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর এক পর্যায়ে ৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছিল হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। সেখান থেকে যোগ করা সময়ের শেষ মুহূর্তে স্কোরলাইন ৩-৩ করে বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ বাঁশি বাজার ঠিক আগ মুহূর্তে স্বপ্নভঙ্গ হয় বাংলাদেশের। আরেকটা ভুলের খেসারত দিয়ে গোল খেয়ে ম্যাচটা ৪-৩ ব্যবধানে হেরে যায় কাবরেরার দল।
দুর্দান্ত খেলার পরও শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে এমন হার নিয়ে খুঁটিনাটি বিশ্লেষণ চলছে। বেশিরভাগই হারের দায় দিচ্ছেন কাবরেরাকে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন বাংলাদেশ কোচ। হারের দায়টাও নিজের কাঁধেই নিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে কাবরেরা বলেছেন, ‘আমি সব দায় নিচ্ছি, পুরো টিমও নিচ্ছে। সবচেয়ে বেশি দায় আমারই।’
গতকালের হারে এশিয়ান বাছাইয়ের ‘সি’ গ্রুপে ৩ ম্যাচে ১ পয়েন্ট নিয়ে তলানীতে নেমে গেছে বাংলাদেশ। এরপরও আশা হারাচ্ছেন না কোচ। আগামী ১৪ অক্টোবর হংকংয়ের মাঠে খেলতে নামবেন হামজারা। আপাতত সেদিকেই লক্ষ্য কাবরেরার, ‘এখন আমাদের মনোযোগ পরবর্তী ম্যাচে দিতে হবে। আমাদের এখনো সুযোগ আছে। সামনে হংকংয়ের সঙ্গে আরেকটা ম্যাচ আছে। যদি আমরা সেটা জিততে পারি, তাহলে আবারও আমরা গ্রুপের শীর্ষে তিনের মধ্যে চলে আসব।’