২০ বছর পর প্রথমবারের মত সেন্ট জেমস পার্কে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখলো নিউক্যাসল। গতকাল রাতে পিএসজিকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে নিজেদের শক্তিমত্তার আরো একবার প্রমান দিয়েছে নিউক্যাসল। অন্যদিকে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি শেষ ভাগের দুই গোলে আরবি লিপজিগকে ৩-১ ব্যবধানে পরাজিত করেছে।
ইউরোপীয়ান এলিট প্রতিযোগিতায় আরেক ম্যাচে কোচ জাভি হার্নান্দেজের শততম ম্যাচে বার্সেলোনা পোর্তোর বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় পেয়েছে। শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে ল্যাজিওর কাছে পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয়েছে সেল্টিক।
কিন্তু ইউরোপ জুড়ে গ্রুপ পর্বের এত ম্যাচের ভিড়ে সকল আকর্ষন কেড়ে নিয়েছে নিউক্যাসল। অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মিগুয়েল আলমিরন, ড্যান বার্ন, সিন লংস্টাফ ও ফাবিয়ান শায়ের স্কোরশিটে নাম লিখিয়েছেন। ২০১১ সালে কাতারি মালিক দলের দায়িত্ব নেবার পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে এটাই পিএসজির সবচেয় বড় পরাজয়।
ম্যাচের ১৭ মিনিটে পিএসজি অধিনায়ক মারকুইসহোসের ভুলে স্বাগতিক নিউক্যাসলকে এগিয়ে দেন আলমিরন। বিরতির ছয় মিনিট আগে বার্নের হেড গিয়ানলুইগি ডোনারুমা সেভ করলেও তা লাইন ক্রস করলে ব্যবধান দ্বিগুন হয়। ভিএআর সম্ভাব্য অফসাইডের বিষয়টি পরীক্ষা করে নিউক্যাসলকে গোল উপহার দেয়। পিএসজি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে কাল কোন প্রভাবই বিস্তার করতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে লংস্টাফের গোলে ব্যবধান ৩-০’তে উন্নীত হলে পিএসজির পরাজয় সময়ের ব্যপার হয়ে দাঁড়ায়। ৫৬ মিনিটে লুকাস হার্নান্দেজ এক গোল পরিশোধ করলেও তা শেষ পর্যন্ত সান্তনাই দিয়েছে সফরকারীদের। স্টপেজ টাইমে শায়েরের গোলে নিউক্যাসলের বড় জয় নিশ্চিত হয়।