মাজিয়ার সঙ্গে ড্র করলেও বসুন্ধরা কিংস এএফসি কাপের পরের রাউন্ডে যেতে পারতো হয়তো। কিন্তু সেটা হলো না। মোহনবাগান ৫-২ গোলে হারিয়েছে মাজিয়াকে। ফলে বসুন্ধরা কিংস ৩ ম্যাচের ২টি জয় নিয়ে ফিরে আসবে দেশে।
গতকাল বসুন্ধরা তাদের তৃতীয় ম্যাচে গোকুল কেরালাকে ২-১ ব্যবধানে হারায়। প্রথম ম্যাচে তারা মাজিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল। কিন্তু মাঝের ম্যাচে তারা মোহনবাগানের কাছে ৪-০ গোলে হেরে যায়।
মোহনবাগানের কাছে হোঁচট না খেলে হয়তো সমীকরন এতটা কঠিন হতো না বসুন্ধরা কিংসের। এএফসি কাপের ডি-গ্রুপে দুই ম্যাচ জিতেছে তারা। মাজিয়াকে হারানোর পর মঙ্গলবার কলকাতার বিশ^ যুবভারতী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা ২-১ গোলে হারিয়েছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (আইএসএল) চ্যাম্পিয়ন গোকুলাম কেরালাকে। এই ফলাফলের পর ভারতের গোকুলাম কেরালা ও মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টসের বিদায় নিশ্চিত হয়। তবে গ্রুপ সেরা হওয়ার দৌঁড়টা তখন বাংলাদেশের কিংস ও ভারতের মোহনবাগানের মধ্যেই ছিল। অবশ্য বাজিমাত করেছে মোহনবাগান।
কিংস জয় নিয়ে তিন ম্যাচ শেষে পয়েন্ট পায় ছয়। তখন মাজিয়ার বিরুদ্ধে পয়েন্ট হারালেই কেবল বাংলাদেশের কাবটি এএফসির আঞ্চলিক পর্বের প্লে-অফ খেলতে পারবে এমন সম্ভাবনা তৈরী হয়।
এদিকে এর আগে আগের ম্যাচে মোহনবাগানের কাছে ০-৪ গোলে হেরে বিধ্বস্ত হওয়া বসুন্ধরা কিংস কাল স্বাভাবিক ছন্দেই ছিল। একাদশে তিনটি পরিবর্তন আনেন কোচ অস্কার। প্রথম ম্যাচের জয়সূচক গোলদাতা নুহা মারংকে একাদশে নেন। এ ম্যাচেও গোল করে কোচের আস্থার প্রতিদান দেন তিনি। প্রথমার্ধের ৩৬ মিনিটে বক্সের মধ্যে দুর্দান্ত এক কোণাকুনি শটে দলকে প্রথম গোল এনে দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন দ্য সিলভা রবিনহো (১-০)।
মোহনবাগানকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করা গোকুলাম কেরালা ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছে প্রায়ই। ৭৪ মিনিটে এক সংঘবদ্ধ আক্রমণে একটি গোল পরিশোধ করে। ৫৪ মিনিটে ™ি^তীয় গোল পায় বসুন্ধরা কিংস। ডান প্রান্ত দিয়ে প্রতিপক্ষের একজনকে পিছনে ফেলে জায়গা বানিয়ে রবসসেনর নেয়া নিঁখুত ক্রসে নুহা মারংয়ের হেড কেরালার জাল কাঁপায় (২-০)। তবে ৭৫মিনিটে এক গোল পরিশোধ করে কেরালা। ডান প্রান্ত দিয়ে বদলী ডিফেন্ডার জসিমের ক্রসে দৌঁড়ে এসে ডান পায়ের শটে গোল করেন জ্যামাইকান ফরোয়ার্ড ফেচার (১-২)। শেষে এই ব্যবধানেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা কিংস।