মেসির মিয়ামিবরণ

চিরচেনা দশ নম্বর জার্সি পেলেন এলএমটেন

স্পোর্টস ডেস্ক

জুলাই ১৮, ২০২৩, ১২:১৯ এএম

চিরচেনা দশ নম্বর জার্সি পেলেন এলএমটেন

ইন্টার মিয়ামিতে রাজসিক আত্মপ্রকাশ ঘটলো লিওনেল মেসির। বিশ্ব ফুটবলের সেরা তারকাকে বরণ করে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতিই সম্পন্ন করে রেখেছিল মেজর লিগ সকারের ক্লাবটি। অনুষ্ঠানের নামও দিয়েছিল ‘দ্য আনভেইল’। যদিও তুমুল বৃষ্টি নির্ধারিত সময়ের আয়োজনটি শুরু হতে কিছুটা বিপত্তি ঘটায়। 
স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় জমকালো অনুষ্ঠানিটি শুরু হবার কথা থাকলেও ঝড়-বৃষ্টির কারনে দুই ঘন্টা দেরীতে শুরু হয়। তবে ২০ হাজার ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ফ্লোরিডার ফোর্ট লডারডেলে মিয়ামির হোম গ্রাউন্ড ডিআরভি পিএনকে স্টেডিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। বিশ্বসেরা প্রিয় তারকাকে বরণ করে নেবার সুযোগ কেউই হাতছাড়া করতে চায়নি। 
মেসি যখন সাদা একটি টি-শার্ট পড়ে তিন পুত্র ও স্ত্রী এ্যান্তোলেনা রোকুজ্জসহ স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন তখন ভক্তদের উচ্ছসিত চিৎকারে পুরো পরিবেশ প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। মেসি হেঁটে মঞ্চের মাঝামাঝি আসার সময়টাতে আকাশ ছিল আতশ বাজির ঝলকানিতে পরিপূর্ণ। 
ক্লাব মালিক ডেভিড বেকহ্যাম অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে গিয়ে বলেন, মেসির আগমন তার কাছে স্বপ্ন পূরণের মতই। সাবেক এই ইংলিশ অধিনায়ক আরো বলেন, ‘লিও, ক্যারিয়ারের পরবর্তী ধাপে তুমি আমাদের ক্লাবকে বেছে নেয়ায় আমরা সবাই দারুন গর্বিত।’
এরপর তিনি স্প্যানিশ ভাষায় মেসিকে মিয়ামি পরিবারে স্বাগত জানান। ২০০৭ সালে লস এ্যাঞ্জেলস গ্যালাক্সিতে যোগ দিয়ে বেকহ্যাম কার্যত মেজর লিগ সকারকে ভিন্ন এক মাত্রা উপহার দিয়েছিলেন। 
এরপর মিয়ামির আরেক শেয়ার হোল্ডার জর্জ ম্যাস বলেন, ‘আজকের রাতটা আমাদের জন্য উপহার। এই শহরের জন্য এতবড় আনন্দের মুহূর্ত খুব কমই এসেছে। আজকে আমরা বৃষ্টির মধ্যে অনুষ্ঠানটি আয়োজন করছি। এই পানি পবিত্র। এটি আমাদের মুহূর্ত। এদেশের ফুটবলের চিত্র পাল্টে দেবার মুহূর্ত। তুমি আমাদের নতুন নাম্বার টেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাম্বার টেন।’
এ সময় মেসিকে মিয়ামির গোলাপি রঙের ১০ নম্বর জার্সি উপহার দেয়া হয়। মেসি বলেছেন, ‘আমাকে সমর্থন এবং এত ভালবাসা দেবার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। মিয়ামিতে আসতে পেরে আমিও দারুন খুশী। সত্যিকার অর্থেই আমি এখানে অনুশীলন শুরু করতে ও মাঠে নামতে মুখিয়ে আছি। অন্যান্য ক্লাবের প্রতি আমার যে ধরনের আকাঙ্খা, প্রতিশ্রুতি ছিল, সেই একই ধরনের বিষয়গুলো এখানেও কাজ করবে। ক্লাবের উন্নতিতে যথাসাধ্য দেবার চেষ্টা করবো। পরিবারসহ এই শহরে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এখানকার সময়টা যে উপভোগ্য হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। আশা করছি সবাই মিলে ভাল কিছু উপহার দিতে পারবো।’

Link copied!