একবার এগিয়ে যায় সাইফ। তো পরের বার এগিয়ে থাকে আরামবাগ। আগে গোল করে কখনোই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পরেননি জামাল ভূঁইয়ারা। একের পর এক গোল পেয়েছে দু’দলই। সাত গোলের থ্রিলারে অবশেষে জয় হয়েছে সাইফ স্পোর্টিংয়েরই। সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা ৪-৩ গোলে হারায় মতিঝিল পাড়ার দলটিকে।
জয় পরাজয়ের বাইরে আলোচনায় জাতীয় দলের অধিনায়ক জামালের গোল। যিনি ক্লাবে সাইফের হয়ে খেলছেন। ডান পায়ের জোড়ালো শট অনেক দূর থেকে লক্ষ্যভেদ করে। গোলকিপার বাঁদিকে ঝাপিয়ে রক্ষা করতে পারেননি। এই গোলের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গোলের ভিডিও ছড়িয়ে পরে।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমনে গেছেন সাইফ ও আরামবাগের ফরোয়ার্ডরা। কিন্তু গোলের দেখা পেতে ৩০ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে জামাল ভূঁইয়াদের। নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার এমানুয়েল এরিওচুকু এগিয়ে দেন সাইফকে (১-০)। মিনিট সাতেক পর ম্যাচে সমতা আনেন আরামবাগের উজবেক ফরোয়ার্ড ইসলমজন আবদুকাদিরভ (১-১)। ম্যাচের রোমাঞ্চ যেন পুরোটাই জিইয়ে ছিল দ্বিয়ার্ধের জন্য। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে সাইফকে ফের এগিয়ে দেন ফরোয়ার্ড মারাজ হোসেন (২-১)। মিনিট দুয়েক পর ব্যবধান বাড়ান মোহাম্মদ ফাহিম (৩-১)। ৭৮ মিনিটে আরামবাগের উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার খুলমোরদভ ব্যবধান কমান (২-৩)। মিনিট দুয়েক পর ফের ম্যাচে সমতা আনেন মতিঝিল পাড়ার মিডফিল্ডার আরাফাত মিয়া (৩-৩)। কিন্তু ম্যাচের অন্তিম সময়ে ক্যাপ্টেন্সি নক গোল করে সাইফকে জেতান জামাল ভূঁইয়া (৪-৩)। এই জয়ে ১৮ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে উঠে এল সাইফ। অন্যদিকে মাত্র পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শেষে অবস্থান এক ম্যাচ কম খেলা আরামবাগের।
এর পরে রাতে দুই গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ডের উপর ভর করে জিতেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে তারা ২-০ গোলে হারায় শেখ রাসেলকে। ধানমন্ডির হয়ে গোল দু’টি করেন সুলেমান সিল্লাহ এবং ওমর জোবে। এই জয়ে ১৭ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকা আবাহনীকে পেছনে ফেলে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো শেখ জামাল। ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে গেল এক ম্যাচ বেশ খেলা আকাশী হলুদরা। ১৮ ম্যাচ খেলে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে শেখ রাসেল।
শের অন্যতম সেরা দুই কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক এবং সাইফুল বারী টিটু। ঘরোয়া ফুটবল কোচের দ্বৈরথে তারাই অন্যতম দুই অগ্রগামী। তবে প্রথম পর্বের মতো (৪-২ গোল) প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় পর্বেও মানিকের কাছে হারলেন টিটু। কাল ম্যাচের শুরু থেকেই দু’দল খেলেছে সমানতালে। প্রথমার্ধে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। কিন্তু গোলের দেখা মেলেনি কোন শিবিরেই। ম্যাচের ৫৯ মিনিটে শেখ জামালকে এগিয়ে দেন গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সুলেমান সিল্লাহ (১-০)। মিনিট সাতেক পর কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ব্যবধান দ্বিগুন করেন আরেক গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ওমর জোবে (২-০)। শেষে ২-০ গোলের ব্যবধানে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেখ রাসেল।