নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর দিন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল ঘোষণা দেন; টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবেন না। এরপরেই চারদিকে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম হয়; উঠে অনেক প্রশ্নও।
কিছু কিছু গণমাধ্যমে এমনও খবর বের হয়; অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পছন্দের তালিকায় ছিলেন না তামিম। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক যেহেতু চান না তামিমকে; তাই দেশ সেরা এই ওপেনার নিজেকে গুটিয়ে নেন এই সংস্করণ থেকে! আর এতেই স্পষ্ট হয় দুজনের মধ্যে দূরত্ব। আসলেই কি এমন কিছু হচ্ছে?
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ শেষের দিন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলে, তামিম-মাহমুদউল্লাহর মধ্যে কোনো দূরত্ব আছে কী না জানতে চাওয়া হয়। বিসিবি সভাপতি উত্তরে জানালেন; তিনি কোনো সমস্যা দেখছেন না। এ ছাড়া এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করার কারণও খুঁজে পাননি তিনি।
নাজমুল হাসান বলেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে বায়ো-বাবলের জন্য এখন দলের কাছাকাছি যাওয়া যায় না। তবুও আমি যতটুকু জেনেছি কোনো সমস্যা নেই। আমি যতটুকু দেখেছি কোনো সমস্যা দেখিনি। জালাল ভাই আগের সফরে (নিউ জিল্যান্ড সফরে) দলের সঙ্গে গিয়েছিল, আমি তাঁকে জিজ্ঞাস করেছি, ববি ভাই (জিম্বাবুয়ে সফরে) গিয়েছেন তাকে জিজ্ঞেস করেছি। তারা কেউ কোনো সমস্যা খুঁজে পায়নি। তাই আমি বলব, এই জিনিসটা মন্তব্য করার কোনো কারণই আমি দেখছি না।’
গত ১ সেপ্টেম্বর তামিম ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে না খেলার বিষয়টি ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে আমাদের বোর্ড প্রেসিডেন্ট পাপন ভাই, আমাদের চিফ সিলেক্টর নান্নু ভাইকে আমি ফোন করেছিলাম। ফোন করে তাদের সঙ্গে কিছু জিনিস আমি শেয়ার করেছি। যেটা আমি সবার সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। আমি তাদের বলেছি যে আমার মনে হয় না যে আমার ওয়ার্ল্ড কাপ টিমে থাকা উচিত।’
তামিম নিউ জিল্যান্ড সফর থেকে টি-টোয়েন্টি খেলছেন না। দলে থাকলেও হঠাৎ করে এক সিদ্ধান্তে ওয়ানডে শেষেই নিউ জিল্যান্ড থেকে দেশে ফেরেন। এরপর জিম্বাবুয়ে সফরেও খেলেননি টি-টোয়েন্টি। আর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও ছিলেন না দলে। তামিম বিশ্বকাপ না খেলার কথা জানানোর পর তাকে বাদে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড ঘোষণা করে বিসিবি।