রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী ও দোকান শ্রমিকদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার সকালে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে বিস্তারিত জানানো হবে বলে র্যাবের পক্ষ থেকে পাঠানো এক ক্ষুদেবার্তায় জানানো হয়েছে।
রীয়তপুর ও কক্সবাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে একজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং অন্য দুজন সংঘর্ষের সূত্রপাতকারী।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল কথা কাটাকাটির জেরে রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। ওই ঘটনায় তখন দুই শিক্ষার্থী ও দুই ব্যবসায়ী আহত হন। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও পরদিন সকাল ১০টার পর থেকে শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেট ব্যবসায়ী-শ্রমিকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে।
এই সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুইজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নাহিদ হাসান নামে একজন কুরিয়ার সার্ভিস কর্মী ১৯ এপ্রিল রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া ২১ এপ্রিল ভোরে মারা যান মোরসালিন (২৬) নামে এক দোকান কর্মচারী। তিনিও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান।
এই দুজন নিহতের ঘটনায় দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ডেলিভারিম্যান নাহিদের নিহতের ঘটনায় বাবা মো. নাদিম হোসেন বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ হত্যা মামলা দুটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে ডিবি। এছাড়াও এই সংঘর্ষের ঘটনায় আরও দুটি মামলা হয়েছে।