বেটা
বক্সে মিউজিক বাজলো। অনেকটা রিদমিকের তালে তালে নিজের শারীরিক শৈলী প্রদর্শন করলেন বাংলাদেশ আনসারের দেশসের নারী বডিবিল্ডার মাকসুদা আক্তার মৌ। বৃহস্পতিবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শেখ কামাল অডিটরিয়ামে হাততালিতে উচ্ছাস প্রকাশ করলেন উপস্থিত শত শত দর্শক। গত জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে ছয়জনের মধ্যে সেরা হয়ে স্বর্ণপদক জেতার পর বাংলাদেশের প্রথম নারী বডিবিল্ডার হিসাবে অংশ নিয়েছিলেন মুম্বাইয়ের আইএইচএফএফ অলিম্পিয়া অ্যামেচার বডিবিল্ডিং চ্যাম্পিয়নশিপে। সেখানে তৃতীয় রানারআপ হন।
বৃহস্পতিবার জাতীয় শরীরগঠনেও ওমেন ফিজিকে স্বর্ণপদক জিতেছেন যমুনা ফিউচার ফিটনেস সেন্টারের এই ট্রেইনার। পদক হাতে নিয়ে মাকসুদ বলেন, ‘মুম্বাইয়ে যখন প্রদর্শন করেছি, তখন দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছি। সেখানে তৃতীয় রানারআপ হয়েছি। সেখান থেকেই মূলত আত্মবিশ্বাস জন্মেছিল। তাই এখানেও সেরা হয়েছি। খুব ভাল লাগছে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমি ট্যাবু ভাঙ্গতে চেয়েছিলাম। তাতে কাজ হয়েছে মনে হয়। অনেক নারীই এখন আসছেন বডিবিল্ডিং প্রতিযোগিতায়।’
এদিকে তিন দিনব্যাপী জাতীয় শরীরগঠন প্রতিযোগিতা শেষে মেনস বডিবিল্ডিংয়ের ৫৫, ৬০, ৬৫, ৭০, ৭৫, ৮০, ৮৫ ও ৮৫+ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্বর্ণপদক জেতেন যথাক্রমে মো. মুন্না, মো. আরিফুর রহমান, মো. তানিম ইসলাম, সৈয়দ তাশদীদ হাসান, রনজিত চন্দ্র সরকার, আনোয়ার হোসেন, মো. রিয়াজ উদ্দীন ও সুমন দাস। মেনস ফিজিকের ১৬৬, ১৭০ ও ১৭০+ সে.মি. উচ্চতা শ্রেণিতে স্বর্ণ জেতেন যথাক্রমে: মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, শাকের উদ্দিন শাওন ও জাহিদ হাসান। মাস্টার বডিবিল্ডিংয়ে প্রথম হন মুহাম্মদ শাহিন। এছাড়াও দলগতভাবে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ ট্রফি অর্জন করে যথাক্রমে বাংলাদেশ আনসার ও চট্টগ্রামের মানস জিম। খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শরীরগঠন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মিস্টার বাংলাদেশ নজরুল ইসলাম। এ সময় আনসারের সহকারী পরিচালক রায়হান উদ্দিন ফকির উপস্থিত ছিলেন।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
