৮৩’র বিশ্বকাপ জয় দেশে ক্রিকেট-স্বাধীনতা এনেছিল

ক্রীড়া ডেস্ক

ডিসেম্বর ১৪, ২০২১, ০৯:২৯ পিএম

৮৩’র বিশ্বকাপ জয় দেশে ক্রিকেট-স্বাধীনতা এনেছিল

৩৮ বছর আগে ঐতিহাসিক লর্ডসে প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতে ইতিহাস গড়েছিল কপিল দেব রামলাল নিখাঞ্জের ভারত। ক্লাইভ লয়েডের ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বশ মানিয়ে বিলেতের মাটিতে ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উড়িয়েছিলেন মহিন্দর অমরনাথ, মদন লালরা। মধ্যরাতে ক্রিকেট আকাশে সূর্যোদয় দেখেছিল আসমুদ্রহিমাচল। সেই সাফল্য এবার রুপোলি পর্দায়। নাম ‘৮৩’। ২৪ ডিসেম্বর রিলিজ। তারই প্রচারে সোমবার দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার একটি শপিং মলে হাজির হয়েছিলেন পরিচালক কবীর খান ও তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক। সাংবাদিক সম্মেলনে পৌঁছনোর আগে একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিলেন কপিল দেব নিখাঞ্জ।

 

প্র: ১৯৮৩’র বিশ্বকাপ জয় নিয়ে সিনেমা কি আগেই তৈরি হওয়া উচিত ছিল? 

কপিল: অবশ্যই। কিন্তু কবীর খানের মতো পরিচালক যে খুঁজে পাইনি।

 

প্র: খেলাধুলা নিয়ে বহু বায়োপিক হয়েছে। তবে অধিকাংশই তেমন চলেনি। এই ব্যাপারে আপনি কতটা আশাবাদী?

কপিল: বিচারের দায়িত্ব দর্শকদের। আমি কিচ্ছু বলব না। তবে টেনশন আছে। মনে হচ্ছে, জীবনের প্রথম টেস্ট খেলতে নামছি।

 

প্র: নিজের চরিত্রে রণবীর সিংয়ের অভিনয় কেমন লাগল?

কপিল: রণবীর খুব বড় অভিনেতা। এই সিনেমায় ওর সঙ্গে কাজ করেছি। কাছ থেকে দেখেছি। প্রচণ্ড পরিশ্রমী। শিখতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেনি। বাকিরাও অসাধারণ। 

 

প্র: দু’বছর আগেই তো রিলিজ হওয়ার কথা ছিল…

কপিল: (থামিয়ে দিয়ে) থ্যাংকস টু প্রডিউসার অ্যান্ড ডিরেক্টর। করোনার কারণে অনেকদিন অপেক্ষা করতে হল। যাই হোক, অবশেষে ২৪ ডিসেম্বর রিলিজ হচ্ছে। ৮৩’র বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে ছিল অনেক ঘটনা। সিনেমা দেখলে তা জানতে পারবেন।

 

প্র: ৮৩’র বিশ্বকাপ না জিতলে ভারতীয় ক্রিকেট কী আজ এই উচ্চতায় পৌঁছত?

কপিল: অনেকের অবদানেই ভারতীয় ক্রিকেট এই জায়গায় এসেছে। তবে হ্যাঁ, ৮৩’র বিশ্বকাপ আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছিল। আমরাও পারি, এই মানসিকতা তৈরি করে দিয়েছিল। বলতে দ্বিধা নেই, সেই সাফল্যই ক্রিকেট স্বাধীনতা এনেছিল দে। 

 

প্র: ফাইনালের সেরা মুহূর্ত কোনটা? 

কপিল: অনেক ঘটনা ভোলার নয়। বলবিন্দর সান্ধুর বলে গ্রিনিজের আউট হওয়া কিংবা অমরনাথের বলে হোল্ডিংয়ের এলবিডব্লুর মুহূর্তগুলি এখনও তরতাজা। আর দর্শকদের মাঠে নেমে পড়ার ছবিটা চোখের সামনে ভাসে। থাক, সব ফাঁস করলে চলবে না।

 

প্র: ৯ রানে দলের ৪ উইকেট। মুভির ট্রেলরের রহস্যটা কী খোলসা করবেন?

কপিল: ওটা জিম্বাবোয়ে ম্যাচের ঘটনা। পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য বড় ব্যবধানে জিততেই হতো। কিন্তু শুরুটা ভালো হয়নি। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে তখন গরম জলে স্নান করছিলাম। একটার পর একটা উইকেট পড়তে দেখে টেনশনে ভুগছিল সবাই। সেটা জানাতে চাইছিল সতীর্থরা। কিন্তু ভেবেছিলাম ওরা মজা করছে। প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলাম।

 

প্র: ওই ম্যাচেই তো আপনি অপরাজিত ১৭৫ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন। সেই কীর্তি এখনও কি আনন্দ দেয়? 

কপিল: দলের জন্য বরাবরই নিজেকে উজাড় করে দিয়েছি। সেদিন ওই ইনিংসটার প্রয়োজন ছিল। আমি না হলে অন্য কেউ খেলত। তাই বিশাল কিছু করেছি বলে মনে হয় না। আমি টিম গেমে বিশ্বাসী। অনেকে বলেন, এটা কপিলের মুভি। তাদের থামিয়ে দিয়ে বলি, শুধু আমার নয়, গোটা দলের। আমরা আজও একটা পরিবার।

 

প্র: নেতৃত্ব বদল নিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট এখন সরগরম। কী বলবেন?

কপিল: বোর্ড ভালোই চলছে। কী আর বলব। ওদের বরং সিনেমাটা দেখতে বলুন। আমি না হয় দুটো টিকিট রোহিত, কোহলিকে পাঠিয়ে দেব।

 

Link copied!