গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের ফের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা জানান, ১২ অক্টোবরের মতো অনিয়ম পেলে ফের ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন- মাহমুদ হাসান রিপন (আওয়ামী লীগ), এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু (জাতীয় পার্টি), অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম (বিকল্প ধারা), নাহিদুজ্জামান নিশাদ (স্বতন্ত্র) ও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান (স্বতন্ত্র)।
এর আগে মঙ্গলবার ইসির যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানান, ১৪৩ কেন্দ্রের প্রতিটিতে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় ও নির্বাচন কমিশন থেকে সিসি ক্যামেরার ভোট সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা হবে।
নির্বাচন উপলক্ষে মাঠে রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে নিয়োজিত রয়েছে ১৭ থেকে ১৮ জনের ফোর্স। ভোটকেন্দ্র পাহারায় পুলিশ, অঙ্গীভূত আনসার ও গ্রাম পুলিশ ভোটের আগে পরে চারদিনের জন্য মোতায়েন থাকবে।
সাঘাটা ও ফুলছড়ি দুটি উপজেলা নিয়ে এ সংসদীয় আসন গঠিত। এতে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। এর মধ্যে ফুলছড়ির সাতটি ইউনিয়নে এক লাখ ১৪ হাজার ৬৭৬ জন এবং সাঘাটার ১০টি ইউনিয়নে দুই লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে গাইবান্ধা-৫ আসনটি শূন্য হয়। গত ১২ অক্টোবর এ আসনের উপ-নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয় ইসি। পরবর্তীতে ৪ জানুয়ারি ভোটের নতুন তারিখ দেয়া হয়।