এপ্রিল ৫, ২০২২, ০৯:০৬ পিএম
বাংলাদেশ কোনো অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে অর্থ ব্যয় করে না। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় শ্রীলঙ্কার সঙ্গে বাংলাদেশকে মেলাবেন না। দুই দেশের সমাজ ও অর্থনীতি ভিন্ন। তাদের মূল্যায়ন তারা করবেন। আমরা সতর্কতার সঙ্গে আমাদের অর্থনীতি পরিচালনা করি।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
ক্রমাগত উন্নতিতে এক যুগ আগে যে শ্রীলঙ্কা উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উঠার পথে ছিল, সেই শ্রীলঙ্কা এখন দেনার দায়ে জর্জরিত হয়ে এখন দেউলিয়া হওয়ার পথে। জ্বালানি তেল কিনতে না পারায় দেশটিতে এখন বিদ্যুৎ মিলছে না। গাড়ি চালানো দুষ্কর হয়ে উঠছে। কাগজের অভাবে পরীক্ষা নেয়া যাচ্ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বী। এই পরিস্থিতিতে জনবিক্ষোভে সরকারও পতনের দ্বারপ্রান্তে। সংকটে পড়া দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি বাংলাদেশ থেকেও ঋণ চেয়েছে। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি দেখে তাদের ঋণ না দেওয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
শুধু আর্থিক সঙ্কট নয়, চীনের প্রতি অধিক নির্ভরশীলতা এবং পারিবারিক একনায়কতন্ত্রকেও দায়ী করা হচ্ছে শ্রীলংকার বর্তমান সংকটের কারণ হিসেবে।
এ অবস্থায় বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী বলছেন, আমরা অপ্রয়োজনীয় কাজ করি না। দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য যা কল্যাণ তাই করি। শ্রীলঙ্কা আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবো না। তবে বিষয়টি এখন ব্যাপকভাবে আলোচিত। অনেক রিপোর্ট দেখছি, আমাদের বিশ্বাস এগুলো কাজে দেবে। আমরা গবেষণা করছি, দেখছি ও শুনছি। তবে আবারও বলছি, শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ও বাংলাদেশের অর্থনীতি এক নয়, কেউ মেলাতেও যাবেন না।