ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত যমজ দুই মেয়ের মরদেহের পর এবার তাদের মায়ের মরদেহও বাড়িতে আসলো। নিখোঁজের পাঁচ দিন পর বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) মা শিমু আক্তারের মরদেহ সুগন্ধা নদীতে ভেসে ওঠে।
এর আগে,শিমু আক্তারের যমজ দুই মেয়ে সামিয়া (৪) ও লামিয়া (৪) লামিয়ার মরদেহ গত ২৫ ডিসেম্বর উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দাফন করা হয়। বৃহস্পতিবার শিমু আক্তারকে তার দুই শিশুর কবরের পাশেই দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও স্বজনরা জানায়, নিহত সামিয়া ও লামিয়া বরগুনার তালতলী উপজেলার আগাপাড়া গ্রামের রফিক হোসেনের মেয়ে। তারা মায়ের সঙ্গে দাদাবাড়িতে বেড়াতে আসছিলো। বাবা অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় তার আসা হয়নি। এরপর ঢাকা থেকে বরগুগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর দগ্ধ হয়ে মারা যায় সামিয়া এবং লামিয়া। তাদের নানি দুলু বেগমও গুরুতর আহত হয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় নিখোঁজ হওয়ার ৫ দিন পর ওই শিশুদের মা শিমু আক্তারের মরদেহ বুধবার উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২৩ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে যাওয়া এমডি অভিযান-১০ নামে ওই লঞ্চে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ৭০ জনের বেশি। অনেকে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। অগ্নিদগ্ধ ও আহতদের অনেকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল ও ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।