ঢাবিতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল ও ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ
জুলাই আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা হামলার জড়িত ছিল বলে অভিযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়ায় দাবি জানানো হয়। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজয় ৭১ হলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকে। পরবর্তী সেখানে তারা সংবাদ সম্মেলন করেন।
ককটেল ফাটানো নিষিদ্ধ লীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, অনতিবিলম্বে ডাকসুর নির্বাচনের তফসিল, ফ্যাসিবাদের দোসর ছাত্র-শিক্ষকদের বিচার এবং ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মোসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন,"আপনারা জানেন আজ ভোরে কাটাবন এলাকায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা কিভাবে মিছিল করেছে। এর আগে তারা এমন মিছিল করার সাহস পাইনি। তারা শুধু এখানে মিছিল করেনি তারা ককটেলও ফাটিয়েছে এবং সেই সাথে আইন বিভাগের সামনে সাতটি অবিস্ফোরিত ককটেল ও পাওয়া গেছে। আমরা মনে করি এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। পাঁচ আগস্ট পরবর্তীতে যাদের গ্রেফতার করার কথা ছিল এই ইন্টারিম সরকার তাদের ক্লিনশিট দিয়ে রেখেছে।দশ মাস পার হয়ে গেলেও ১২০ জনের নামকা ওয়াস্তে একটা তালিকা করে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। "
তিনি আরো বলেন, "আমরা মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন সিনেট সদস্য, শিক্ষক সমিতির সভাপতি সেক্রেটারি জুলাই হামলার সাথে জড়িত।তাদেরকে বহিষ্কার করা তো দূরের কথা তাদের বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারে নাই। আর তারা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে বসে আওয়ামী ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে।"
ডাকসুর বিষয়ে তিনি বলেন,"আমরা শুনতে পেয়েছি একটু আগে সিন্ডিকেটের মিটিংয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। দশ মাস পরে এসে তারা শিক্ষার্থীদের চাওয়াটাকে একটু হলেও মূল্যায়ন করেছেন। এজন্য আমরা তাদের সাধুবাদ জানাই। একই সাথে আমরা দ্রুতই ডাকসুর তফসিল ঘোষণার দাবি জানাই। "