এবার মবের হাতে হেনস্তার শিকার হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নওরীন সুলতানা তমা। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) আনুমানিক রাত ৯:৪৫ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন তিনি ।
নওরীন সুলতানা বলেন, ‘ঢাকা ট্রিবিউনের ফটোসাংবাদিক মেহেদী হাসানকে আরেকজন মনে করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিএসসি গেইট সংলগ্ন চায়ের দোকানে যান এবং এর ১০ মিনিট পরে একটি গ্রুপ টিএসসি গেইটে কোনো পূর্বনির্দেশনা ছাড়াই তালা দিয়ে বসে। পরবর্তিতে তাকে ঘিরে ধরে পরিচয় জানতে চাওয়া, হাত ধরা এবং তার ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ফেসবুক প্রোফাইলে সদ্য সংগঠিত গ্রুপ ক্যাম্পাস পেট্রোল এর পেছনে থাকতে পারে বলে সন্দেহ পোষন করেন তিনি।
তিনি বলেন, কার উদ্যোগে বা নির্দেশনায় এটি করা হচ্ছে জানতে চাওয়া হলে তারা বলেন, আমরা ছাত্ররা যেটা চাই সেটাই হবে। এরপর অবস্থার অবনতি ঘটলে প্রক্টরিয়াল টিমকে খবর দেওয়া হয়, তারা উপস্থিত হলে ছাত্ররা অভিযোগ তুলে যে তমা নাকি প্রক্টরকে মারতে চেয়েছেন। এই কথা বলে ৮-১০ জন তার দিকে এগিয়ে আসতে থাকে। প্রক্টরিয়াল টিম এবং পরিচিত মানুষজনের উপস্থিতির কারণে অল্পের জন্য বেঁচে যান তমা। পরবর্তীতে তাকে প্রক্টরিয়াল টিমের গাড়িতে করে বাসায় রেখে আসা হয়।’
ভুক্তভোগী নওরীন সুলতানা তমা দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আমি চাচ্ছি লিখিত অভিযোগ দিতে এবং পরে যা হয় আরকি। মানে তদন্ত হোক সেইটা চাচ্ছি।’
এই বিষয়ে কোনো তদন্ত করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘ওর (তমা) সাথে আমার ফোনে কথা হয়েছে। এটা দুই পক্ষের শিক্ষার্থীদের একটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তদন্ত করার মতো কোনো অভিযোগ দেয়া হয় নি এবং অভিযোগ দেওয়ার কোনো দরকারও নাই কারণ আমি ব্যাপারটা জেনেছি এবং ওদের সাথে আমার দুই দফা কথা হয়েছে।’
এই বিষয়ে ক্যাম্পাস পেট্রোল নামক সংগঠনের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা জানতে চাইলে প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘না এটার সংশ্লিষ্টতা নাই। এটা হয়েছে কি, আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের যে ক্রাউড এটা নিয়ে অনেক বিরক্ত, সেইগুলো বন্ধ করতে যেয়ে তারা হয়ত গেটটা বন্ধ করেছিল। মেয়েটা তখন ভিতরে ছিল, সে বের হতে যেয়ে দেখে বন্ধ। তখন সে জিজ্ঞেস করে আপনারা যে বন্ধ করেছেন, কাকে জানিয়ে করেছেন। এটা নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়েছে। যারা গেট আটকিয়েছিল তাদের আমি বলেছি তোমরা এগুলা করোনা।’